শেয়ার কারসাজির অপরাধে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মূলত সংঘবদ্ধভাবে বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেন এবং কৃত্রিমভাবে দর বাড়ানোর দায়ে ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার রেকর্ড জরিমানার এ তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিএসইসি। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কারসাজির দায়ে এত বড় জরিমানার নজির নেই।
বিএসইসি বলছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায়’ এসব কোম্পানিকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। একক কোম্পানি থেকে গ্রুপে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। তিনি গণঅভূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
এ কোম্পানির শেয়ারদর কারসাজির ঘটনায় এককভাবে সর্বোচ্চ ১২৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে মুসফেকুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শেয়ার কারসাজির ঘটনায় একবার তাকে ১০০ কোটি টাকা এবং অন্যটিতে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয় ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে।
এই ঘটনায় শুধু একটি কথাই বলতে চাই- সাবাস বিএসইসি, সাধুবাদ।