‘জেড’ থেকে একদিন পরই ফের ‘বি’তে এনার্জি পাওয়ার

এসএমজে ডেস্ক

শেয়ারবাজারে ‘জেড’ শ্রেণিতে স্থানান্তরের এক দিন পরই আবার শ্রেণি পরিবর্তন হয়েছে এনার্জি পাওয়ার জেনারেশনের। কোম্পানিটি রোববার থেকে আবার ‘বি’ শ্রেণিতে ফিরে এসেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটিকে ‘বি’ শ্রেণি থেকে ‘জেড’ শ্রেণিতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশের ৮০ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণের হালনাগাদ তথ্য দিতে না পারায় কোম্পানিটিকে দুর্বল মানের ‘জেড’ শ্রেণিতে স্থানান্তর করেছিল ডিএসই কর্তৃপক্ষ। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। ওই দিন এনার্জি পাওয়ার জেনারেশনসহ মোট ২৮ কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছিল। তার মধ্য থেকে আজ এনার্জি পাওয়ার আগের শ্রেণিতে ফিরে এসেছে।

ডিএসই সূত্র জানায়, ‘জেড’ শ্রেণিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের পর বৃহস্পতিবার এনার্জি পাওয়ার জেনারেশন গত বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণের হালনাগাদ তথ্য–প্রমাণ ডিএসইর কাছে জমা দেয়। সেই তথ্য–প্রমাণ যাচাই–বাছাই করে ডিএসই জানতে পারে, কোম্পানিটি ঘোষিত লভ্যাংশের প্রায় ৮৬ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করেছে। এ কারণে কোম্পানিটিকে আবারও আগের শ্রেণিতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ না করলে ওই কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করা হয়। গত ২০ মে বিএসইসি ‘জেড’ শ্রেণির কোম্পানি তালিকাভুক্তি–বিষয়ক একটি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনায় বিধানটি রয়েছে। এ ছাড়া নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।

এদিকে শ্রেণিমানের উন্নতি হওয়ায় রোববার শেয়ারবাজারে এনার্জি পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারের দাম বেড়েছে। প্রথম সোয়া এক ঘণ্টার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম সাড়ে ৬ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯০ পয়সায়।

Tagged