হঠাৎ রুগ্ন কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কারণ কী?

মালিকানা পরিবর্তনের পর পাঁচ বছর বন্ধ থাকা কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীর হাত ধরে এক বছর আগে উৎপাদনে আসে। মাত্র তিন মাসে শেয়ারটির দর ৩০ টাকা থেকে ১৫৭ টাকা হয়েছে। একই ব্যবসায়ীর মালিকানায় এখন রুগ্‌ণ কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস। এ কোম্পানির শেয়ারদরও বেড়ে কয়েক গুণ হবে– এমন গুজবে গত তিন দিনে শেয়ারটির দর ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির ১২৩ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়। এসব রুগ্ন কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়া পেছনে কারণ কী?

অথচ ঈদের ছুটির পর গত রোববারও ডিএসইতে ফু-ওয়াং ফুডসের শেয়ারহোল্ডাররা ফ্লোর প্রাইসেই শেয়ার বিক্রির জন্য মরিয়া ছিলেন, যদিও কোনো ক্রেতা ছিল না। আগের তিন মাসের এ শেয়ারের বিক্রির আদেশ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রতিদিনই প্রায় সাড়ে পাঁচশ বিনিয়োগকারী প্রায় ৫৮ লাখ শেয়ার বিক্রির আদেশ দিয়ে বসে থাকতেন, যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা।

গত তিন দিনে এ শেয়ারের এখন ক্রেতার অভাব নেই, অভাব বিক্রেতার। ২০২০ সালে মাত্র ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার পর গত দুই বছর লভ্যাংশ না দিয়েও কোম্পানিটি এখনও ‘বি’ ক্যাটাগরির, যার ১১১ কোটি টাকার মূলধনের বিপরীতে গত বছরই পুঞ্জীভূত লোকসান ছিল প্রায় ৭৬ কোটি টাকা। শুধু ফু-ওয়াং ফুডস নয়, ঈদের ছুটির পর হঠাৎ করে প্রায় ২০-২৫টি রুগ্‌ণ, লোকসানি বা বন্ধ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে। বিশেষত ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত শেয়ারে এ উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এর পেছনে কী কারণ রয়েছে সেটি খুঁজে বের করা প্রয়োজন। না হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।

Tagged