পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হলে সরকারের রাজস্বও বাড়ে

শুধু বিনিয়োগকারী বা কেম্পানি নয়, সরকারের জন্য একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার প্রয়োজন। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হলে সরকারেরও রাজস্ব বাড়ে।

চলতি বছরের মে মাসে পুঁজিবাজার থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালে সরকার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এই টাকা বেশি রাজস্ব পেয়েছে। ডিএসইর বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের মে মাসে ডিএসইতে ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি লেনদেন হওয়ায় সরকার স্টক এক্সচেঞ্জ হোল্ডারদের লেনদেনের ওপর কমিশন থেকে উৎসে কর বাবদ ৩ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৬১ টাকা বেশি পেয়েছে।

ডিএসইতে চলতি বছরের মে মাসে দেশের ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৯০টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও)ধারীদের ১৮ হাজার ৬৭৩ কোটি ৭০ লাখ ৯ হাজার ২৭২ টাকার শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং বন্ডের লেনদেন হয়েছে। সেখান থেকে কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২০ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার ৬২৫ টাকা।

এর আগের বছর ২০২২ সালের মে মাসে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন হয়েছিল ১৪ হাজার ৬১২ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৫৬৯ টাকার শেয়ার। সেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের মে মাসের তুলনায় ২০২৩ সালের মে মাসে লেনদেন বেড়েছে। আর লেনদেন বাড়ায় সরকার এ খাত থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৬১ টাকা রাজস্ব বেশি পেয়েছে।

শুধু আগের বছরের তুলনায় নয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের তুলনায়ও মে মাসে সরকারের রাজস্ব আয় বেশি হয়েছে। এপ্রিল মাসে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৮০৭ টাকা।

যত লেনদেন বাড়বে, সরকার তত এখান থেকে রাজস্ব আয় পাবে। তাই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকাটা খুবই জরুরি।

Tagged