পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে চার সিদ্ধান্ত: দ্রত বাস্তবায়নই কাম্য

চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে শেয়ার বিক্রিকারী মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফলিও বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। পাশাপাশি নিষ্ক্রিয় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে বলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জকে (বিএসইসি) আশ্বস্ত করেছ।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা ওপর আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফলিও ম্যানেজাররা। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হয়।

সভায় পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিএমবিএর পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে বলে চারটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সিদ্ধান্তগুলো মধ্যে প্রথমটি হলো- দুই মাসব্যাপী দরপতনে শেয়ার বিক্রির ফলে অনেক বিনিয়োগকারীর হিসাব অলস পড়ে আছে। যারা বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে উক্ত বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এতে বাজারের চাহিদা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

দ্বিতীয়ত, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্লায়েন্টের সাইজ অনেক বড়। তাদের মধ্যে অনেক ইনঅ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট আছে যাদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগসহ উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তৃতীয়ত, সম্প্রতি সময়ে কিছু সংখ্যক মার্চেন্ট ব্যাংক পোর্টফলিও ম্যানেজার নিজস্ব হিসাব থেকে কিছু বিক্রির চাপ ছিল। ফলে তাদের হিসাবে বর্তমানে কিছুটা বিনিয়োগ যোগ্য তহবিল রয়েছে তা থেকে প্রত্যেক মার্চেন্ট ব্যাংকের নিজস্ব অন্ততপক্ষে ১০ শতাংশ নতুন বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে আনতে হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়াও পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীর তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সংখ্যা অনেক কম। এই সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে মার্চেন্ট ব্যাংক পোর্টফোলিও ম্যানেজাররা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে এবং বিনিয়োগকারীকে উদ্বুদ্ধ করে বাজারে আনতে হবে।

আমরা মনে করি, যত ভালো সিদ্ধান্তই হোক, তার সাফল্য নির্ভর করে বাস্তবায়নের ওপর। তাই এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নই কাম্য।

Tagged