পারপিচুয়াল বন্ডের লেনদেন হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল প্ল্যাটফরমে

এসএমজে ডেস্ক:

স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনযোগ্য ছিল না পারপিচুয়াল বন্ডগুলো। এতোদিন প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডগুলো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নামে বরাদ্দ করা হতো। স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেন না হওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে পারত না। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের জন্য ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও লেনদেনযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।

৫ জুলাই রোববার বিএসইসির ৭৩০তম কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দেশের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক তাদের মূলধন শক্তিশালী করতে বাজারে বন্ড ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করছে। বর্তমানে এ বে-মেয়াদী বন্ড (Perpetual Bond) ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের প্রবণতা বেড়েছে। বিএসইসি গত মাসে চারটি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ড অনুমোদন করেছে। ব্যাংক চারটি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে এক হাজার ছয়শ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

বিএসইসি জানায়, এসকল বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জের মূল প্ল্যাটফরমে কেনাবেচা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নও করা হবে।

বর্তমানে পুঁজিবাজারে দুটি পারপেচুয়াল বন্ড তালিকাভুক্ত আছে। এর একটি হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এবং অপরটি হলো আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানির।

পুঁজিবাজারে পণ্য বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং বিনিয়োগের বিকল্প সুযোগ তৈরি করতে অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরে একটি কার্যকর বন্ড মার্কেটের তাগিদ দিয়ে আসছেন। বিশ্বব্যাংক এবং এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকেরও (এডিবি) এমন চাওয়া রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি খুবই ধীর গতিতে হচ্ছিল। তবে বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার বিষয়টি তার অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে বলে জানান।

বিএসইসি আরোও জানায়, ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সম্পূর্ণরূপে লেনদেনযোগ্য করতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম হলো বন্ডগুলোর ইউনিট ভেঙে ছোট করতে হবে। ব্যাংকগুলোর বন্ডের ইউনিটের আকার ছিল ১ থেকে ১০ লাখ টাকা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাতে অংশ নিতে পারবে না। তাই এগুলোকে ১০০ বা ১০০০ টাকায় নামিয়ে আনলে বাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ ও লেনদেন বাড়বে। সূত্র: বিএসইসি

এসএমজে/২৪/বা

Tagged