৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের সময় বৃদ্ধি: কালক্ষেপণ নয়তো?

সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে আরও সময় পাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২১ কোম্পানি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে।

২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর ২০১১ সালে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিধান করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। আর পরিচালকদের হাতে এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকাও বাধ্যতামূলক করা হয়।

২০১১ সালে এমন আইন করা হলেও সেটি পরিপালনের ক্ষেত্রে এর আগে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএসইসি। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বর্তমান কশিমন আইনটি প্রতিপালনের কঠোর অবস্থান নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৪৩ কোম্পানিকে আইন পরিপালনের জন্য ৬০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে গত বছর ২৯ জুলাই চিঠি দেয় বিএসইসি। এরপর এক দফা সময় বাড়িয়ে তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

এর মধ্যে ২৩টি কোম্পানি সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ পুরণ করতে বাধ্য হয়। ২১ কোম্পানি ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করেনি। এই অবস্থায় আবার সময় বাড়ানোর বিষয় কালক্ষেপণ নয়তো? কারণ এসব কোম্পানির পরিচালকরা অনেক সময় এমন ধরনের কৌশল নিয়ে থাকতে পারেন।

Tagged