পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জিরো প্রাইসে সেল দেওয়া নয় ব্রোকারেজ হাউজের সেই ১৫ ট্রেডারের লেনদেনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে এই সংক্রান্ত চিঠি জারি করেছে বিএসইসি।
বিএসইসি বলছে, আলোচিত ট্রেডারদেরনিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) করা আবেদন বিবেচনায় নিয়ে মানবিক কারণে ওই আদেশ প্রত্যাহার করেছে কমিশন।
কমিশনের চিঠিতে আগামীতে লেনদেনের ক্ষেত্রে সব বিধিবিধান সঠিকভাবে পরিপালন এবং কোনো আইন লংঘন না করতে ওই ট্রেডারদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ, গত ১৮ এপ্রিল শেয়ারবাজারে বড় দর পতন হয়। এই সময় নয়টি ব্রোকারহাউজ থেকে বিধিবিধান লংঘন করে ‘জিরো প্রাইসে’ শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করে আলোচিত ট্রেডাররা দরপতনে ভূমিকা রাখেন বলে বিএসইসির পর্যবেক্ষণে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে আলোচিত ট্রেডারদেরকে লেনদেন কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেয় বিএসইসি।
আলোচিত হাউজগুলো হচ্ছে- আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, পার্কওয়ে সিকিউরিটিজ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস, শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, টি এ খান সিকিউরিটিজ, জেকেসি সিকিউরিটিজ ও কাজী ইক্যুইটিজ।
গত ২১ এপ্রিল ডিবিএ বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আলোচিত ট্রেডারদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
ডিবিএর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিএসইসির নিষেজ্ঞার পরে ডিবিএর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজগুলোর সাথে কথা বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হয়। তাদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, আলোচিত ট্রেডাররা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রি করেননি। তারা কোনো সিকিউরিটিজ আইনও ভাঙ্গেননি। তারা গ্রাহকের বিক্রয় আদেশ অনুসারে, বাজার দরে (Market Price) শেয়ার বিক্রির অফার দিয়েছিলেন, যা বিদ্যমান ট্রেডিং সিস্টেমে গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া তারা সার্কিটব্রেকারের সীমার মধ্যেই শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছেন।
এসএমজে/২৪/রা