১৪ ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে আইপিও সংক্রান্ত লেনদেনে সন্দেহজনক তথ্য পেয়েছে বিএসইসি

এসএমজে ডেস্ক:

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ১৪টি ব্রোকারেজ হাউজের (ট্রেকহোল্ডার) বিরুদ্ধে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সংক্রান্ত লেনদেনে সন্দেহজনক ও অসামঞ্জস্য তথ্য পেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।প্রতিষ্ঠানগুলো আইপিও সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- রয়েল গ্রিন সিকিউরিটিজ, সালতা ক্যাপিটাল, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইউনিক শেয়ার ম্যানেজমেন্ট, সাদ সিকিউরিটিজ, জয়তুন সিকিউরিটিস, সাবভ্যালি সিকিউরিটিজ, শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানি, অ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজ, ওয়াইফাং সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, সার্প সিকিউরিটি, রাস্তি সিকিউরিটিজ এবং স্টারলিং স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ।

বিএসইসির সূত্রে জানা যায়, ব্রোকারেজ হাউজগুলো পরিদর্শন এবং তাদের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী পরীক্ষা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাই এ ধরনের অসঙ্গতি দূর করতে প্রণয়নকৃত নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ১৪টি ব্রোকারেজ হাউজের পেয়েবল টু ক্লাইন্টস, আইপিও পেয়েবল, ইনভেস্টমেন্ট ইন ডিলার অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট ফেসিলিটি টু কাস্টমার- ইত্যাদি বিষয়ে দাখিল করা তথ্যে অসামঞ্জস্যতা পেয়েছে বিএসইসি। ফলে এ বিষয়ে নোটিফিকেশন (প্রজ্ঞাপন) প্রণয়নের জন্য চলতি বছরের ১৪ জুন ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিএসইসি। গঠিত কমিটি গত ২৭ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।

গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন-বিএসইসির পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ,মো. মনসুর রহমান,উপ-পরিচালক মো. কাওসার আলী ও আবুল কালাম আজাদ।

জানা যায়, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী পরীক্ষাকালে এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলো পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান আইপিও সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করছে না। ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় তাদের করণীয় বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেনি বিএসইসি। ফলে আইপিও আবেদন সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিপালন না করা সত্বেও, বিএসইসি থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এ ধরনের অসঙ্গতি দূর করতে প্রণয়নকৃত নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।

সূত্র: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

এসএমজে/২৪/মি

Tagged