নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স। কোম্পানিটি আইপিওর কার্যক্রমের সাথে সাথে এটি গাজীপুর ও চুয়াডাঙ্গায় তার দুটি কারখানার চারটি ইউনিটকে উন্নতিকরণ করবে।
গত বছর কোম্পানির বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ২৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৫ কোটি টাকা।
২০১৩ সালে বড় গ্লোবাল ব্র্যান্ডের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কোম্পানি খুচরা বিক্রেতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল।
প্রাথমিকভাবে মাত্র ১২টি শোরুম ছিল এই কোম্পানির, সারা দেশে এখন ১২০ টিরও বেশি শোরুম খুলতে সক্ষম হয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে এটি বিশ্বের সমস্ত বড় ব্র্যান্ডের অনুমোদিত হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিতরণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:- হিটাচি, শার্প, প্যানাসনিক, ভার্পুল, ফিলিপস, ভি-গার্ড, তোশিবা এবং মিডিয়া।
বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স কননিয়নকে তার পণ্যগুলোর ব্র্যান্ড নাম হিসাবে ব্যবহার করে। এটি ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ এবং অন্যান্য গৃহ সরঞ্জাম সরবরাহ করে। প্রতিদিন বাজারে কনিওন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (পিবিআইএল)। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আসাদুজ্জামান বলেছেন, “আমরা স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাত্রার জন্য গ্রাহকদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছি। আমরা দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশে বেস্ট ইলেকট্রনিক্স গ্রাহকদের বাড়ির সরঞ্জামাদি পণ্যের বিশাল সংগ্রহ সরবরাহ করতে পারে।”
” দেশব্যাপী আমাদের শোরুমগুলো সর্বোত্তম গ্রাহক পরিষেবা সরবরাহ করে। তিনি বলেন, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স তার ব্যবসাকে টেকসই করতে কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করতে চায়।
এই খাতের প্রধান কোম্পানিগুলো হলো:- ওয়ালটন গ্রুপ, ট্রান্সম ইলেক্ট্রনিক্স, বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স, যমুনা ইলেকট্রনিক্স, র্যাংস ইলেক্ট্রনিক্স, প্রান-আরএফএল (ভিসন), মাই ওয়ান ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সুপার স্টার গ্রুপ, এস্কোয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল। তারা বিদেশী ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো একত্রিত করে এবং বিক্রি করে। যেমন স্যামসাং, হোয়ারপুল, এলজি, জেনারেল এবং শার্প।
এসএমজে/২৪/রা