স্বাভাবিক সংশোধনে আতঙ্কের কিছু নেই

পুঁজিবাজারে সংশোধন থাকবেই। এটিও একটি স্বাভাবিক বাজারের লক্ষণ। তাই সংশোধনে আতংকের কিছু নেই। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।

গত কয়েকদিন ধরে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানো বিমা খাতও এদিন বিপরীত পথে হেঁটেছে। এ খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে ডিএসইতে সব খাত মিলে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে, দরপতন হয়েছে প্রায় তার দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের।

এ দিন পুঁজিবাজার লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম আড়াই ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ দুই ঘণ্টার লেনদেনে বিক্রির চাপ বাড়ান এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। ফলে গড়পড়তা সব খাতের প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। সেই সঙ্গে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক।

তবে বেশ কয়েকদিন উত্থানের পর বাজার কিছুটা সংশোধন হবে, এটি স্বাভাবিক। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

Tagged