সূচক ৪৮৫ পয়েন্ট বাড়ার কারণ কী ছিল?

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি বছরের জানুয়ারির ১ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক সূচক ছিল ৫৪৬৫.২৫৪৭৯ পয়েন্ট এবং জানুয়ারির ২৪ তারিখে দাঁড়ায় ৫৯৫০.০১১১৫ পয়েন্টে। মোট ১৮ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছিল প্রায় ৪৮৫ পয়েন্ট।

একনজরে ১-২৪ জানুয়ারি

যদি ১৮ কার্যদিবসে ৪৮৫ পয়েন্টের বেড়ে যাওয়ার দিকে তাকাই- দেখবো পুঁজিবাজার বা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দর প্রায় ৪৮ থেকে ৬০ শতাংশ বেড়েছিল। একটু গভীরে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়- এর পেছনে নিশ্চই কোনো কারসাজি ছিল।
আবার এই বছর মার্চের ২০ তারিখ বাজারের সার্বিক সূচক ছিল ৫৬০০.৫৫৭৬৬ পয়েন্ট এবং এপ্রিলের ১০ তারিখে দাঁড়ায় ৫২৬১.৬০৪৮৭ পয়েন্টে। মোট ১৫ কার্যদিবসে সূচক কমেছে প্রায় ৩৪০ পয়েন্ট।
এর পরবর্তী ছকের দিকে তাকালে দেখবো ভয়ঙ্কর অবস্থা। ওই ১৫ কার্যদিবসে শুধু সূচকই কমেনি, কমেছে কোম্পানির শেয়ারের দরও। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর জানুয়ারির তুলনায় ৭০-৮০ শতাংশ কমেছিল।

মার্চের ২০ তারিখ থেকে এপ্রিলের ১০ তারিখঃ

ধরা যাক, ঢণত কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ২০ টাকা। জানুয়ারিতে ৬০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ টাকায়। এই কোম্পানির শেয়ারের মূল্য মার্চ-এপ্রিলে ওই ৬০ শতাংশের পাশাপাশি আরো ১০-২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ দর কমে দাড়ায় ১০-১৪ টাকায়। তাহলে বোঝাই যায়- কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়িয়ে কোনো চক্র মুনাফা হাতিয়ে আবার কোম্পানিটির শেয়ারের দর একদম ফেলে দেয়।
এখন বিনিয়োগকারীদের একটাই দাবি- শেয়ারবাজারেও জিকে শামীম ও স¤্রাটের মতো অনেক শামীম-স¤্রাট লুকিয়ে আছে, এদের গ্রেফতার করা হোক।

Tagged