নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাপ্তাহিক গেইনারের তালিকায় স্বল্পমূলধনী কোম্পানির দৌরাত্ন দিনদিন বেড়েই চলেছে। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাতের বাংলাদেশ অটোকার্স লিমিটেড।এটি ভালো চোখে দেখছেন না বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা।
১৯৮৮ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া “এ” ক্যাটাগরির স্বল্পমূলধনী এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে মাত্র ৪ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সেই সাথে কোম্পানিটি রয়েছে পুঞ্জিভূত লোকসানেও।
১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১০ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রথম লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছিল। তারপর আবার ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত কোনো লভ্যাংশের ঘোষণা দেয়নি।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাতের মুন্নু জুট স্টাফলারস লিমিটেড।“এ” ক্যাটাগরির এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে মাত্র ২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ১৯৮২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদান করে। তাছাড়া কোম্পানিটির পিই রেশিও দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতের হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড। ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা।
কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ১৪ বছর পর ২০১৫ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রথম লভ্যাংশ প্রদান করেছিল। ২০১৭ সালে আবার কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ দেয়নি। তাছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দিন দিন কমে যাচ্ছে। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য দু:চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
স্বল্পমূলধনী এসকল কোম্পানিগুলো কিভাবে গেইনারের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে সে বিষয় রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে বাজার বিশ্লেষকদের। তাদের মতে,“এমন স্বল্পমূলধনী কোম্পানির শেয়ার গেইনারের তালিকায় আসার পিছনে নিশ্চই কোন না কোন কুচক্রি মহল জড়িত আছে।”
এসএমজে/২৪/ঝি