চলমান করোনা সংকট দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থার চিত্রটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। রোগীরা চিকিৎসা পাবেন না, এ পরিস্থিতি মেনে নেয়া যায় না। সংবিধানে চিকিৎসাসেবাকে একটি মৌলিক চাহিদা হিসেবে স্বীকৃত। সংবিধানকে কতটুকু মানছে চিকিৎসক সমাজ, তা আজ বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে কথা বলেছেন। এরপরও কি এই খাতের পরিবর্তন হয়েছে? এ কথা সত্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা আতঙ্ক রয়েছে সর্বত্র। চিকিৎসকদের মধ্যেও এই আতঙ্ক থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা করোনা আতঙ্কে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেবেন না, তা হতে পারে না। চিকিৎসাসেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার থেকে রোগীদের বঞ্চিত করা যায় না। দেশে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। চিকিৎসকদের অবহেলায় বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যুর খবরও এসেছে। সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে বারবার নির্দেশনা দিয়েছে। গণমাধ্যমের বরাতেে জানা যযায়, গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট ও ভেন্টিলেটর স্থাপন করতে হবে। এছাড়া উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা আরো বৃদ্ধি করতে বলেছেন তিনি। আমরা আশা করব সরকার প্রধানের নির্দেশনাকে সংশ্লিষ্টরা গুরুত্ব সহকারে নেবেন এবং দেশের সংকটকালে তারা আন্তরিক হবেন।