কথায় আছে ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দিবো কোথা।’ আমাদের দেশের পুঁবিাজারে এখন এমনই অবস্থা। ব্যবসা সম্প্রসারণে পুঁজির জন্য অনেক কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, বরং মালিকরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে চেয়েছেন। ভুয়া সম্পদের বিপরীতে শেয়ার ইস্যু হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্বে অবহেলা এবং অযাচিত পদক্ষেপ ও হস্তক্ষেপে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সামগ্রিক নয়, ব্যক্তিস্বার্থে সবাই কাজ করেছে।
দুর্নীতি, বিচারহীনতা, অদক্ষতা এবং ভুল পদক্ষেপের সামগ্রিক ফল হিসেবে শেয়ারবাজারের আজকের এ দশা। অনেকে এক রাতে বড়লোক হয়ে যাবেন ভেবে শেয়ারবাজারে আসেন। বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ওই প্রতিযোগিতায় ঢুকেছে। এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেওর কাজটুকু সঠিকভাবে পালন করেছে বলে মনে হয় না। শেয়ারবাজারে গত ১৫ বছরে দুষ্টের পালন আর সৃষ্টের দমন করা হয়েছে।
শেয়ারবাজার সংস্কারে সদিচ্ছা, জ্ঞানভিত্তিক ও নেতৃত্বগুণ, চাপমুক্ত বাজার এবং প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে না পারলে বাজার সঠিক পথে আসবে না। আমরা মনে করি যারাই দায়িত্ব পালন করুক তারা সঠিকভাবে কাজ করুক। না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। এখন স্বাভাবিক পুঁজিবাজারই কাম্য।