বোরো ধান ঘরে তুলছেন চাষিরা। করোনা সংটের মধ্যে এ ধান তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। অনেক ঘাম ঝরিয়ো তারা এ ফসল উৎপাদন করেন। তাই ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। আর এ বিষয়টি নজদারি করতে হবে সরকারকেই।
ইতিমধ্যে সরকারের খাদ্য বিভাগ ২৬ এপ্রিল থেকে সরাসরি ধানচাষিদের কাছ থেকে চলতি মৌসুমের বোরো ধান সংগ্রহ করার তারিখ ঘোষণা করেছে। ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা। সাধারণত বোরো মৌসুমের ধান আগে পাকে হাওর অঞ্চলে। ফলে সে অঞ্চলেই আগে ধান কাটা শুরু হয়। এ বছরও তাই হয়েছে। সেখানে ধান কাটা শুরু হওয়ার পর সপ্তাহ দুয়েক পেরিয়ে গেছে। নিচু জমিগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশের ধান কাটা হয়েছে।
ধানচাষিরা ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে তা বিক্রি করার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কারণ, তাঁদের অধিকাংশকেই ধান ফলানোর খরচ জোগাড় করতে হয় ঋণ নিয়ে এবং ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঋণ পরিশোধের তাগিদ সৃষ্টি হয়। কেননা দেরি হলে সুদ গুনতে হয়। তা ছাড়া সার, কীটনাশক ও অন্যান্য উপকরণের পেছনে বকেয়া পরিশোধের জন্যও পাওনাদারেরা চাষিদের ওপর চাপ দিতে শুরু করেন। অনেক ধানচাষির আর্থিক অবস্থা এমন যে ধান কাটার শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য নগদ টাকাও তাঁদের কাছে থাকে না। ধান বিক্রি করে তাঁদের মজুরি পরিশোধ করতে হয়। এই সবকিছুর ফলে ধানচাষিদের মধ্যে দ্রুত ধান বিক্রি করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।
এখন বলা হচ্ছে হাওরাঞ্চলে সরকারের ধান কেনাত শুরু হবে ১০ মে থেকে। কিন্তু গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই বাজারে প্রচুর ধান উঠেছে এবং সরবরাহ বেশি হলে যা হয়, ধানচাষিরা ধানের দাম কম পাচ্ছেন। যে ধান সরকার মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকায় কিনছে, ফড়িয়া ও চালকলের মালিকদের কাছে চাষিরা তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এতে ধানচাষিদের লোকসান হচ্ছে। কারণ, প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচই হয় প্রায় ৮০০ টাকা।
তাই চাষিরা যেন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয় সেটি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
ব্রেকিং নিউজ :