দুনিয়ার কোথাও পুঁজিবাজার সরল রেখায় চলে না। এর পথ অনেক আঁকাবাঁকা হতে পারে। তবে তবে যেভাবেই চলুক বাজারে সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। বাজার যারা চালাবেন তাদের সততা যোগ্যতা থাকতে হবে। না হলে যে কী হতে পারে তার উদাহরণ আমাদের বর্তমান পুঁজিবাজার।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতও আত্মগোপনে যান। অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান করে কমিশনের নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তবে নতুন নেতৃত্ব বাজারে আশাব্যঞ্জক কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। সব অংশীজনকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ তাদের নেই। ফলে অংশীজনের সঙ্গে কমিশনের দূরত্ব বেড়েছে। অংশীজনের অভিযোগ, কমিশন চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা কারও সঙ্গে কথা বলতে চান না। তারা সবাইকে অপরাধী ভাবেন। বাজারের এ ক্রান্তিকালে যেখানে অতীতের ভুল, অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করার পাশাপাশি বিনিয়োগ অনাস্থা কাটিয়ে ওঠা জরুরি তখন বিএসইসির চেয়ারম্যান ‘একলা চলো’ নীতি নিয়ে চলছেন। এই ধরনের মানসিকতা বদলাতে হবে। দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৎ ও যোগ্য লোক রয়েছেন। তারা নিজে থেকে কখনো বলবেন না, আমাকে নাও। তাদেরকে খুঁজে বের করত হবে। তাদের মূল্যবান পরামর্শ শুনতে হবে। না হলে বিপদ কাটবে না। এমনও লোক রয়েছেন, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজার নিয়ে নানারকম কাজ করে আসছেন, বই লিখে, কর্মশাল করে নানাভাবে কাজ করছেন। এখন সময় হয়েছে এ ধরনের লোকদের সঠিক অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ গ্রহণ করার। এতে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে, দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে।