বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫
( ১৯৯৫ সনের ১ নং আইন ) [ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ ]
পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনকল্পে প্রণীত আইন৷
যেহেতু পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ নামে অভিহিত হইবে৷
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে এবং ইহা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন তারিখে বলবত্ করা হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় অথবা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে, –
(ক) “অধিদপ্তর” অর্থ ধারা ৩ এর অধীনে স্থাপিত পরিবেশ অধিদপ্তর;
1[(কক) ‘‘জলাধার’’ অর্থ নদী, খাল, বিল, হাওড়, বাওড়, দীঘি, পুকুর, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসাবে সরকারী ভূমি রেকর্ডে চিহ্নিত ভূমি, বা সরকার, স্থানীয় সরকার বা সরকারী কোন সংস্থা কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত কোন জলাভূমি, বন্যা প্রবাহ এলাকা, সলল পানি ও বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোন ভূমি;
(ককক) ‘‘ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (Hazardous Waste) ” অর্থ যে কোন বর্জ্য যাহা নিজস্ব ভৌত বা রাসায়নিক গুণগত কারণে অথবা অন্য কোন বর্জ্য বা পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে বিষক্রিয়া, জীবাণুসংক্রমণ, দহন, বিস্ফোরণক্রিয়া, তেজষ্ক্রিয়া, ক্ষয়ক্রিয়া বা অন্য কোন ক্ষতিকর ক্রিয়া দ্বারা পরিবেশের ক্ষতিসাধনে সক্ষম;]
(খ) “দূষণ” অর্থ বায়ু, পানি বা মাটির তাপ, স্বাদ, গন্ধ, ঘনত্ব বা উহাদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনসহ বায়ু, পানি বা মাটির দূষিতকরণ বা উহাদের ভৌতিক, রাসায়নিক বা জৈবিক গুণাবলীসমূহের পরিবর্তন, অথবা বায়ু, পানি, মাটি বা পরিবেশের অন্য কোন উপাদানের মধ্যে তরল, গ্যাসীয়, কঠিন, তেজস্ক্রিয় বা অন্য কোন পদার্থের নির্গমনের মাধ্যমে বায়ু, পানি, মাটি, গবাদি পশু, বন্যপ্রাণী, পাখী, মত্স্য, গাছপালা বা অন্য সব ধরণের জীবনসহ জনস্বাস্থ্যের প্রতি ও গৃহকর্ম, বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি, বিনোদন বা অন্যান্য ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক, অহিতকর বা ধ্বংসাত্মক কার্য;
(গ) “দখলদার” অর্থ কোন কারখানা বা প্রাংগণের ক্ষেত্রে, উহার বিষয়াবলী নিয়ন্ত্রণকারী কোন ব্যক্তি, এবং কোন পদার্থের ক্ষেত্রে, উহার উপর অধিকার সম্পন্ন কোন ব্যক্তি;
(ঘ) “পরিবেশ” অর্থ পানি, বায়ু, মাটি, ও ভৌত সম্পদ ও ইহাদের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্কসহ ইহাদের সহিত মানুষ, অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ ও অণুজীবের বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্ক;
(ঙ) “পরিবেশ দুষক” অর্থ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বা ক্ষতির সহায়ক হইতে পারে এমন কোন কঠিন, তরল বা বায়বীয় পদার্থ এবং তাপ, শব্দ ও বিকিরণও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(চ) “পরিবেশ সংরক্ষণ” অর্থ পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের গুণগত ও পরিমাণগত মান উন্নয়ন এবং গুণগত ও পরিমাণগত মানের অবনতি রোধ;
2[(চচ) ‘‘পাহাড় ও টিলা’’ অর্থ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পার্শ্ববর্তী সমতল ভূ-পৃষ্ট হইতে উঁচু মাটি অথবা মাটি ও পাথর অথবা পাথর অথবা মাটি ও কাঁকড় অথবা অন্য কোন কঠিন পদার্থ সমন্বয়ে গঠিত স্তুপ বা স্থান এবং সরকারি রেকর্ডপত্রে পাহাড় বা টিলা হিসাবে উল্লিখিত ভূমি;]
(ছ) “প্রতিবেশ ব্যবস্থা” অর্থ পরিবেশের উপাদানসমূহের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং ভারসাম্যযুক্ত জটিল সম্মিলন, যাহা উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের সংরক্ষণ ও বিকাশের সহায়তা ও প্রভাবিত করে;
3[(ছছ) ‘‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (cologically Critical Area) ” অর্থ এই আইনের ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত এমন এলাকা যাহা অনন্য জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বা পরিবেশগত বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড হইতে রক্ষা করা বা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন;]
(জ) “ব্যক্তি” অর্থ কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এবং সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, কোন কোম্পানী, সমিতি বা সংস্থা ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ঝ) “ব্যবহার” অর্থ কোন পদার্থের ক্ষেত্রে, উহার উত্পাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্রিয়াশীলকরণ, মোড়ক বাঁধাই, গুদামজাতকরণ, পরিবহন, সংগ্রহ, বিনষ্ট, রূপান্তর, বিক্রয়ের প্রস্তাব, হস্তান্তর বা এইরূপ পদার্থ সম্পর্কিত অনুরূপ কোন ব্যবস্থা;
(ঞ) “বিপদজনক পদার্থ” অর্থ এমন কোন পদার্থ যাহার রাসায়নিক বা জৈব-রাসায়নিক ধর্ম এমন যে উহার উত্পাদন, মওজুদ, অবমুক্তি বা অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর;
(ট) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(ঠ) “বর্জ্য” অর্থ যে কোন তরল, বায়বীয়, কঠিন, তেজস্ক্রিয় পদার্থ যাহা নির্গত, নিক্ষিপ্ত, বা স্তুপীকৃত হইয়া পরিবেশের ক্ষতিকর পরিবর্তন সাধন করে;
(ড) “মহাপরিচালক” অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক৷
আইনের প্রাধান্য
4[২ক৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন, বিধি ও এই আইনের অধীন প্রদত্ত নির্দেশ কার্যকর থাকিবে৷]
পরিবেশ অধিদপ্তর
৩৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার পরিবেশ অধিদপ্তর নামে একটি অধিদপ্তর স্থাপন করিবে, যাহার প্রধান হইবেন একজন মহাপরিচালক৷
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷
(৩) অধিদপ্তরের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং শর্তে নিয়োগ করা হইবে৷
মহাপরিচালকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৪৷ (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক তত্কর্তৃক সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সকল কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং এই আইনের অধীন তাহার দায়িত্ব সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যে কোন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় লিখিত নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
(২) বিশেষ করিয়া এবং উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, অনুরূপ কার্যক্রমে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন কার্য অর্ন্তভুক্ত হইবে, যথা:-
(ক) এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার কার্যাবলীর সহিত সমন্বয় সাধন;
(খ) পরিবেশ অবক্ষয় ও দূষণের কারণ হইতে পারে এইরূপ সম্ভাব্য দূর্ঘটনা প্রতিরোধ, নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অনুরূপ দূর্ঘটনার প্রতিকারমূলক কার্যক্রম নির্ধারণ ও তত্সম্পর্কে নির্দেশ প্রদান;
(গ) বিপদজনক পদার্থ বা উহার উপাদানের পরিবেশসম্মত ব্যবহার, সংরক্ষণ, পরিবহন, আমদানী ও রপ্তানী সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরামর্শ বা ক্ষেত্রমত নির্দেশ প্রদান;
(ঘ) পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও দূষণ সংক্রান্ত তথ্যাদি অনুসন্ধান ও গবেষণা এবং অন্য যে কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে অনুরূপ কাজে সহযোগিতা প্রদান;
(ঙ) পরিবেশ উন্নয়ন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশমনের উদ্দেশ্য যে কোন স্থান, প্রাংগণ, প্লান্ট, যন্ত্রপাতি, উত্পাদন বা অন্যবিধ প্রক্রিয়া, উপাদান বা পদার্থ পরীক্ষাকরণ এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং উপশমের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে আদেশ বা নির্দেশ প্রদান;
(চ) পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ ও প্রচার;
(ছ) যে সকল উত্পাদন প্রক্রিয়া, দ্রব্য এবং বস্তু পরিবেশ দূষণ ঘটাইতে পারে সেই সকল উত্পাদন প্রক্রিয়া, দ্রব্য এবং বস্তু পরিহার করিবার জন্য সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
(জ) পানীয় জলের মান পর্যবেক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা ও রিপোর্ট প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে পানীয় জলের মান অনুসরণে পরামর্শ বা, ক্ষেত্রমত, নির্দেশ প্রদান৷
(৩) এই ধারার অধীন প্রদত্ত নির্দেশে কোন শিল্প কারখানা, উদ্যোগ বা প্রক্রিয়া বন্ধ, নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়ও থাকিতে পারিবে এবং নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন:
5[তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) কোন শিল্প কারখানা, উদ্যোগ বা প্রক্রিয়া বন্ধ বা নিষিদ্ধ করিবার পূর্বে মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানা, উদ্যোগ বা প্রক্রিয়ার মালিক বা দখলদারকে উহার কার্যক্রম পরিবেশসম্মত করিবার জন্য যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে লিখিত নোটিশ প্রেরণ করিবেন; এবং
(খ) মহাপরিচালক যথাযথ মনে করিলে উক্ত নোটিশে ইহাও উল্লেখ করিতে পারিবেন যে, নোটিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিবেশসম্মত না করা হইলে ধারা ৪ক এর উপ-ধারা (২) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে:]
আরো শর্ত থাকে যে, কোন ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হইবার আশংকা দেখা দিলে মহাপরিচালক, জরুরী বিবেচনায়, তাত্ক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
(৪) মহাপরিচালক কর্তৃক এ ধারার অধীন জারীকৃত নির্দেশ সংশ্লিষ্ট কার্য সম্পাদন করার সময়সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া যাইতে পারে৷
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ
6[৪ক৷ (১) এই আইনের অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কোন সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং এইরূপ অনুরোধ করা হইলে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ উক্ত সহায়তা প্রদান করিবে৷
(২) ধারা ৪(৩) এর অধীনে মহাপরিচালক কর্তৃক কোন শিল্প কারখানা, উদ্যোগ বা প্রক্রিয়া বন্ধ, নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ প্রদান সত্ত্বেও উহার মালিক বা দখলদার উক্ত নির্দেশ পালন না করিলে, মহাপরিচালক উক্ত শিল্প কারখানা, উদ্যোগ বা প্রক্রিয়ার জন্য সরবরাহকৃত বিদ্যুত্, গ্যাস, টেলিফোন বা পানির সংযোগ বা এইরূপ সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা অন্য কোন সেবা বন্ধ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট সংযোগদাতা বা সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন নির্দেশ প্রদত্ত হইলে, উক্ত সংযোগ বা সেবা প্রদান সংক্রান্ত চুক্তিকে বা অন্য কোন দলিলে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত নির্দেশ অনুসারে উহাতে উল্লিখিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷]
প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা
7[৫। (১) সরকার যদি এই মর্মে সস্ত্তষ্ট হয় যে, পরিবেশের অবক্ষয়ের কারণে কোন এলাকার প্রতিবেশ ব্যবস্থা (Eco-system) সংকটাপন্ন অবস্থায় উপনীত হইয়াছে বা হইবার আশংকা রহিয়াছে তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (eologically Critical Area) ঘোষণা করিতে পারিবে এবং অবিলম্বে উক্ত সংকটাপন্ন অবস্থা হইতে উত্তোরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত সকল প্রজ্ঞাপনে সংশ্লিষ্ট এলাকার সীমানা ও মানচিত্রসহ আইনগত বর্ণনার উল্লেখ থাকিবে এবং এই সকল মানচিত্র ও আইনগত বর্ণনা সংশ্লিষ্ট এলাকাতে প্রদর্শিত হইবে এবং তাহা উক্ত এলাকার দালিলিক বর্ণনা হিসাবে বিবেচিত হইবে।
(৩) কোন এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার পর সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণ করিবে।
(৪) প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন বলিয়া ঘোষিত এলাকায় কোন্ কোন্ ক্ষতিকর কর্ম বা প্রক্রিয়া চালু রাখা বা শুরু করা যাইবে না তাহা সরকার উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট করিয়া দিবে।]
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ধোঁয়া সৃষ্টিকারী যানবাহন সম্পর্কে বাধা-নিষেধ
8[৬৷ (১) স্বাস্থ্য হানিকর বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ধোঁয়া বা গ্যাস নিঃসরণকারী যানবাহন চালানো যাইবে না বা উক্তরূপ ধোঁয়া বা গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করার লক্ষ্যে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনভাবে উক্ত যানবাহন চালু করা যাইবে না৷
ব্যাখা৷- এই উপ-ধারায় “স্বাস্থ্য হানিকর বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ধোঁয়া বা গ্যাস” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত মান মাত্রা অতিক্রমকারী ধোঁয়া বা যে কোন গ্যাস৷
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যে কোন যানবাহন যে কোন স্থানে পরীক্ষা করিতে বা চলমান থাকিলে উহাকে থামাইয়া তাত্ক্ষনিকভাবে পরীক্ষা করিতে, এইরূপ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ব্যাপী আটকাইয়া রাখিতে (detain) বা উক্ত উপ-ধারা লংঘনকারী যানবাহন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আটক করিতে (seize) বা উহার পরীক্ষাকরণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে তাত্ক্ষণিকভাবে কোন যানবাহন পরীক্ষা করা হইলে উক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে৷
(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান বা উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ লংঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট যানবাহনের চালক বা, ক্ষেত্রমত, মালিক বা উভয় ব্যক্তি দায়ী থাকিবেন৷
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্রী উত্পাদন, বিক্রয় ইত্যাদির উপর বাধা-নিষেধ
[৬ক৷ সরকার, মহা-পরিচালকের পরামর্শ বা অন্য কোনভাবে যদি সন্তুষ্ট হয় যে, সকল বা যে কোন প্রকার পলিথিন শপিং ব্যাগ, বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরী অন্য কোন সামগ্রী বা অন্য যে কোন সামগ্রী পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সমগ্র দেশে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় এইরূপ সামগ্রীর উত্পাদন, আমদানী, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করিবার বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত শর্তাধীনে ঐ সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারী করিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বাধ্য থাকিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নির্দেশ নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-
(ক) উক্ত প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত সামগ্রী রপ্তানী করা হইলে বা রপ্তানীর কাজে ব্যবহৃত হইলে;
(খ) কোন নির্দিষ্ট পলিথিন শপিং ব্যাগের ক্ষেত্রে উক্ত নির্দেশ প্রযোজ্য হইবে না মর্মে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হইলে৷
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায় “পলিথিন শপিং ব্যাগ” অর্থ পলিইথাইলিন, পলিপ্রপাইলিন বা উহার কোন যৌগ বা মিশ্রণ এর তৈরী কোন ব্যাগ, ঠোঙ্গা বা অন্য কোন ধারক যাহা কোন সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় বা কোন কিছু রাখার কাজে বা বহনের কাজে ব্যবহার করা যায়৷]
পাহাড় কাটা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ
9[৬খ। পাহাড় কাটা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ।-কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন ও/বা মোচন (cutting and/or razing) করা যাইবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে কোন পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইতে পারে।]
ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, আমদানী, মওজুদকরণ, বোঝাইকরণ, পরিবহণ, ইত্যাদি সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ
10[৬গ। পরিবেশের ক্ষতিরোধকল্পে সরকার, অন্যান্য আইনের বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, ধারণ, মওজুদকরণ, বোঝাইকরণ, সরবরাহ, পরিবহণ, আমদানী, রপ্তানী, পরিত্যাগকরণ (Disposal), ডাম্পিং, ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।]
জাহাজ কাটা বা ভাঙ্গার কারণে সৃষ্ট দূষণ সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ
11[৬ঘ। কোন জাহাজ কাটা বা ভাঙ্গার ফলে কোন প্রকার ঝূঁকিপূর্ণ বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি না হয় তাহা প্রত্যেক জাহাজের মালিক, আমদানিকারক এবং জাহাজ কাটা বা ভাঙ্গার কাজে ইয়ার্ড ব্যবহারকারী নিশ্চিত করিতে বাধ্য থাকিবেন।]
জলাধার সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ।
12[৬ঙ। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনভাবে শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে জলাধার সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ শিথিল করা যাইতে পারে।]
প্রতিবেশ ব্যবস্থার ক্ষতির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ
13[৭৷ (১) মহাপরিচালকের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যক্তির কাজ করা বা না করা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে প্রতিবেশ-ব্যবস্থা বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির ক্ষতিসাধন করিতেছে বা করিয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক উহা পরিশোধ এবং যথাযথ ক্ষেত্রে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বা উভয় প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি এইরূপ নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ অনুসারে নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিলে মহাপরিচালক যথাযথ এখ্তিয়ার সম্পন্ন আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা বা উক্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থতার জন্য ফৌজদারী মামলা বা উভয় প্রকার মামলা দায়ের করিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বা সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথাযথ ক্ষেত্রে যে কোন বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য ব্যক্তিকে মহাপরিচালক দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবেন৷
(৪) সরকার এই ধারার অধীনে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তত্সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মহাপরিচালককে নির্দেশ দিতে পারিবেন৷]
পরিবেশ দূষণ বা অবক্ষয় সম্পর্কে মহাপরিচালককে অবহিতকরণ
৮৷ (১) পরিবেশ দূষণ বা পরিবেশের অবক্ষয়জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অথবা সম্ভাব্য ক্ষতির আশংকাগ্রস্ত যে কোন ব্যক্তি ক্ষতি বা সম্ভাব্য ক্ষতির প্রতিকারের জন্য মহাপরিচালককে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদনের মাধ্যমে অবহিত করিবেন৷
(২) এই ধারার অধীন প্রদত্ত যে কোন আবেদন নিষ্পত্তিকরণকল্পে মহাপরিচালক গণশুনানীসহ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
অতিরিক্ত পরিবেশ দুষক নির্গমন ইত্যাদি
৯। 14[(১) যে ক্ষেত্রে কোন কাজ বা ঘটনা বা কর্মকান্ড বা কোন দুর্ঘটনার ফলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত পরিবেশ দূষক নির্গত হয় বা নির্গত হইবার আশংকা থাকে, সেই ক্ষেত্রে তদ্রূপ নির্গমনের জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং নির্গমন স্থানটির দখলকার ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বা প্রশমন করিতে বাধ্য থাকিবেন]
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সৃষ্ট ঘটনা বা ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা উক্ত উপ-ধারায় উল্লেখিত ব্যক্তি মহাপরিচালককে অবিলম্বে অবহিত করিবেন৷
15[(৩) এই ধারার অধীন কোন ঘটনা বা দুর্ঘটনার তথ্য প্রাপ্ত হইলে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যথাশীঘ্র সম্ভব, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বা প্রশমন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা অন্য যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিবেন এবং নির্দেশিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠান মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন।]
(৪) এই ধারার অধীন পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ব্যয়কৃত অর্থ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যক্তির নিকট হইতে মহাপরিচালকের পাওনা হইবে এবং উহা সরকারী দাবী (Public Demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
16[(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কর্মকান্ডের ফলে নির্গত বর্জ্য বা দূষক মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কতৃর্ক তাৎক্ষনিক পরীক্ষায় নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করিয়াছে প্রমাণিত হইলে উক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।]
প্রবেশ ইত্যাদির ক্ষমতা
১০৷ (১) এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, মহাপরিচালক হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, কোন ব্যক্তি সকল যুক্তিসংগত সময়ে, তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সহায়তা সহকারে যে কোন ভবন বা স্থানে নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে প্রবেশ করার অধিকারী হইবেন, যথা:-
(ক)এই আইন বা বিধির অধীন তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করা;
(খ)এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত নোটিশ, আদেশ বা নির্দেশ মোতাবেক উক্ত ভবন বা স্থানে কোন কাজ পরিদর্শন করা;
(গ)কোন সরঞ্জাম, শিল্প-প্লান্ট, রেকর্ড, রেজিষ্টার, দলিল অথবা তত্সংশ্লিষ্ট অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরীক্ষা এবং যাচাই করা;
(ঘ)এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত কোন নোটিশ, আদেশ বা নির্দেশ ভংগ করিয়া কোন অপরাধ কোন ভবন বা স্থানে সংগঠিত হইয়াছে বলিয়া উক্ত ব্যক্তির যুক্তিসংগতভাবে বিশ্বাস করার কারণ থাকিলে, উক্ত ভবন বা স্থানে তল্লাশী পরিচালনা করা;
(ঙ)এই আইন বা বিধির অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার হইতে পারে এইরূপ কোন সরঞ্জাম, শিল্প-প্লান্ট, রেকর্ড, রেজিষ্টার, দলিল অথবা অন্য কোন কিছু আটক করা৷
(২) কোন শিল্প কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া পরিচালনাকারী বা কোন বিপদজনক পদার্থ ব্যবহারকারী ব্যক্তি এই আইনের অধীন দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সকল সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
(৩) এই ধারার অধীন সকল তল্লাশী ও আটকের ব্যাপারে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর বিধান অনুসরণ করা হইবে৷
নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা ইত্যাদি
১১৷ (১) মহাপরিচালক হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে যে কোন কারখানা, প্রাংগন বা স্থান হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বায়ু, পানি, মাটি অথবা অন্যবিধ পদার্থের নমুনা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
17[(২) উপ-ধারা (৩) বা ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (৪) এর বিধান পালন সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন গৃহীত নমুনা সম্পর্কে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত নমুনা সংগ্রহকারী বা গবেষণাগারের রিপোর্ট বা উভয়ই সংশ্লিষ্ট কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয় হইবে৷]
(৩) উপ-ধারা (৪) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহকারী কর্মকর্তা-
(ক)উক্ত স্থানের দখলদার বা এজেন্টকে, অনুরূপ নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে তাহার অভিপ্রায় সম্পর্কে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নোটিশ প্রদান করিবেন;
(খ)উক্ত দখলদার বা এজেন্ট এর উপস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করিবেন;
(গ)উক্ত নমুনা একটি পাত্রে রাখিয়া উহাতে তিনি নিজের ও উক্ত দখলদার বা এজেন্ট এর স্বাক্ষর দ্বারা চিহ্নিত করিয়া সীলমোহর দিবেন;
(ঘ)সংগৃহীত নমুনার একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া উহাতে নিজে স্বাক্ষর করিবেন এবং দখলদার বা এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন;
(ঙ)মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে উক্ত পাত্র অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন৷
(৪) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং সংগ্রহকারী কর্মকর্তা উপ-ধারা (৩) এর (ক) দফার অধীনে নোটিশ প্রদান করেন, সেইক্ষেত্রে যদি দখলদার বা এজেন্ট নমুনা সংগ্রহের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থাকেন, বা উপস্থিত থাকিয়াও নমুনাতে ও রিপোর্টে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে সংগ্রহকারী দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নিজেই তাহার স্বাক্ষর দিয়া উহা নিশ্চিত ও সীলমোহরকৃত করিবেন এবং দখলদার এজেন্টের অনুপস্থিতি বা, ক্ষেত্রমত, স্বাক্ষরদানে অস্বীকৃতির কথা উল্লেখ করিয়া মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে বিশ্লেষণের জন্য অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন৷
পরিবেশগত ছাড়পত্র
18[১২। (১) মহা-পরিচালকের নিকট হইতে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোন এলাকায় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা প্রকল্প গ্রহণ করা যাইবে না।
(২) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠান বা গৃহীত প্রকল্পের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ কার্যকরের পর অবিলম্বে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ করিতে হইবে।
(৩) কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ করিতে হইবে।
(৪) পরিবেশগত ছাড়পত্র বিষয়ে প্রণীত বিধিমালাতে অন্যান্য বিষয়ের সহিত পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ প্রতিবেদন, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন, জনমত যাচাই, এই সকল বিষয়ে জনগণের তথ্য প্রাপ্যতা, ছাড়পত্র প্রদানকারী কমিটির গঠন ও কর্মপদ্ধতি, ছাড়পত্রের ন্যূনতম আবশ্যকীয় শর্তাবলী, আপীল ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকিবে।
(৫) অধিদপ্তর পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের তালিকা প্রতি বছর ৩১শে মার্চ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী বৎসরের তালিকা হালনাগাদ করিবে এবং বিভিন্ন ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপন প্রতিবেদন বা পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার ন্যূনতম যোগ্যতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করিবে ও এই সংক্রান্ত তালিকা প্রস্তুত, অনুমোদন এবং হালনাগাদ করিবে।]
পরিবেশ নির্দেশিকা প্রণয়ন
১৩৷ পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সম্পর্কে সরকার, সময় সময়, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা পরিবেশ নির্দেশিকা প্রণয়ন ও জারী করিতে পারিবে৷
আপীল
১৪৷ (১) এই আইন বা বিধি অনুসারে প্রদত্ত কোন নোটিশ, আদেশ বা নির্দেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি, উক্ত নোটিশ, আদেশ বা নির্দেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট উহার বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন এবং আপীলের উপর উক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং এইরূপ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, আপীল কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুুষ্ট হয় যে, কোন অনিবার্য কারণে উক্ত সময়ের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপীল দায়ের করিতে পারেন নাই, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ আপীল দাখিলের জন্য অতিরিক্ত অনধিক ত্রিশ দিন সময় বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত আপীল কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে গঠন করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন আপীল কর্তৃপক্ষ একাধিক সদস্য সমন্বয়ে গঠন করা হয়, তাহা হইলে উহার একজন সদস্যকে সরকার উক্ত কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করিবে৷
(৩) এই ধারার অধীন দায়েরকৃত আপীল দায়েরের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হইবে৷
দণ্ড
19[১৫৷ (১) নিম্নটেবিলে উল্লিখিত বিধানাবলী লংঘন বা উহাতে উল্লিখিত নির্দেশ অমান্যকরণ বা অন্যান্য কার্যাবলীর জন্য উহার বিপরীতে উল্লিখিত দণ্ড আরোপণীয় হইবেঃ
টেবিল
ক্রমিক নং | অপরাধের বর্ণনা | আরোপণীয় দণ্ড |
১। | ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) বা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ অমান্যকরণ | প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ১ (এক) বৎসর, অনধিক ২ (দুই)বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা, অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড । |
২। | ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীনে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত এলাকায় নিষিদ্ধ কর্ম বা প্রক্রিয়া চালু রাখা বা শুরুর মাধ্যমে উপ-ধারা (৪) লংঘন | প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ।
|
৩। | ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর লংঘন | প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড; দ্বিতীয় অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ১০(দশ) হাজার টাকা এবং পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা ২০(বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ।
|
৪। | ধারা ৬ক এর অধীনে প্রদত্ত নির্দেশ লংঘনক্রমে উহাতে বর্ণিত সামগ্রী- | |
(ক) উৎপাদন, আমদানী, বাজারজাতকরণ | (ক) প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দণ্ড ।
|
(খ) বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার | (খ) অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড । | |
৫। | ধারা ৬ক এর বিধান লংঘন | প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
|
৬। | ধারা ৬গ এর অধীন প্রণীত বিধির বা বিধিমালার বিধান লংঘন
|
প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দণ্ড;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। |
৭। | ধারা ৬ঘ এর বিধান লংঘন | প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। |
৮। | ধারা ৬ঙ এর বিধান লংঘন | প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
|
৯। | ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ অমান্যকরণ
|
প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ১ (এক) বৎসর, অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা, অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
|
১০। | ধারা ৯ এর উপ-ধারা (১) বা (২) এর লংঘন বা উপ-ধারা (৩) অনুসারে মহা-পরিচালক নির্দেশিত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা
|
প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ১ (এক) বৎসর, অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা, অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড;
পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
|
১১। | ধারা ১০ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে মহা-পরিচালককে বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে, যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে, সাহায্য সহযোগিতা না করা
|
অন্যূন ১ (এক) বৎসর, অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা, অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড;
|
১২। | ধারা ১২ এর বিধান লংঘন
|
অন্যূন ২ (দুই) বৎসর, অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা, অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
|
(২) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা কতিপয় অপরাধ চিহ্নিত এবং উক্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য দণ্ড নির্ধারণ করা যাইবে, তবে এইরূপ দণ্ড ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের অতিরিক্ত হইবে না। |
ক্ষতিপূরণের দাবী
20[১৫ক। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালা বা ধারা ৭ এ প্রদত্ত নির্দেশ লংঘনের ফলে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জনগণ ক্ষতিপ্রস্থ হইলে, উক্ত ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ক্ষতিপ্রস্থ জনগণ, অথবা তাহাদের পক্ষে মহাপরিচালক ক্ষতিপূরণের দাবীতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।
অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট বস্তু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্তি
১৫খ। কোন ব্যক্তি ধারা ১৫ তে বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য দোষী সাব্যস্ত ও দণ্ডিত হইলে, উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনে যন্ত্রপাতি বা উহার অংশ বিশেষ, যানবাহন বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট পণ্যসামগ্রী বা অন্য কোন বস্তু বাজেয়াপ্ত অথবা বিনষ্টের জন্যও আদালত আদেশ দিতে পারিবে।]
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
১৬৷21[(১) এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী বা এই আইন বা বিধির অধীন প্রদত্ত নোটিশ অনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনে বা আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ ব্যক্তি যদি কোম্পানী বা সমিতি বা সংঘ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী বা সমিতি বা সংঘের মালিক, অংশীদার, স্বত্ত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার, ম্যানেজার, সচিব বা প্রত্যক্ষভাবে সংশিষ্ট অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি বা এজেন্ট, বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বা নোটিশ অনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনে বা আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন বা ক্ষেত্রমত, ব্যর্থতা তাঁহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন বা ব্যর্থতা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।]
22[(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানী আইনগত ব্যক্তিসত্ত্বাবিশিষ্ট সংস্থা (Body Corporate) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানীকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারী মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে৷]
23[(৩) এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী বা এই আইন বা বিধির অধীন প্রদত্ত নোটিশ অনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনে বা আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ ব্যক্তি যদি সরকারের কোন বিভাগ বা সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় সরকার সংগঠন বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হয়, তাহা হইলে সরকারের উক্ত বিভাগ বা সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় সরকার সংগঠন বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি বা এজেন্ট বা তাঁহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বা নোটিশ অনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনে বা আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন বা ক্ষেত্রমত, ব্যর্থতা তাঁহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন বা ব্যর্থতা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।]
ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের
24[১৭। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি লংঘনের ফলে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হইলে, উক্ত ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ, অথবা তাহাদের পক্ষে মহা-পরিচালক পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।]
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
১৮৷ এই আইন বা বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, মহাপরিচালক, অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৯৷ (১) সরকার এই আইন বা বিধির অধীন উহার যে কোন ক্ষমতা মহাপরিচালক বা অন্য যে কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারে৷
(২) মহাপরিচালক এই আইন বা বিধির অধীন তাহার যে কোন ক্ষমতা অধিদপ্তরের যে কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২০৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, 25[বিধি মালা] প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, উক্ত 26[বিধি মালায়] নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইতে পারে, যথা:-
(ক)বিভিন্ন এলাকার জন্য বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বায়ু, পানি, শব্দ ও মৃত্তিকাসহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের মানমাত্রা নির্ধারণ:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান শিল্প বা প্রকল্পের ক্ষেত্রে, অনুরূপ মানমাত্রার প্রয়োগ, এককভাবে বা সামগ্রিকভাবে, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্থগিত করিতে পারিবে;
(খ) পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে শিল্প কারখানা স্থাপন ও অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ;
(গ) বিপদজনক পদার্থের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিবহনের নিরাপদ পদ্ধতি নিরূপণ;
(ঘ) পরিবেশ দূষণের কারণ হইতে পারে এইরূপ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপদ পদ্ধতি ও প্রতিকারমূলক কার্যক্রম প্রণয়ন;
(ঙ) বর্জ্য নিঃসরণ ও নির্গমনের মানমাত্রা নির্ধারণ;
(চ) বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যাদির পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ, পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পদ্ধতি;
(ছ) পরিবেশ এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থা রক্ষা করার পদ্ধতি;
27[(জ) পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের পদ্ধতি, তথ্য প্রাপ্তি এবং অন্যান্য সেবার ফিস নির্ধারণ;]
28[(ঝ) ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্যের তালিকা প্রণয়ন, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন, ধারণ, মওজুদকরণ, বোঝাইকরণ, সরবরাহ, পরিবহণ, আমদানী, রপ্তানী, পরিত্যাগকরণ (Disposal) , ডাম্পিং, ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধান;
(ঞ) বিভিন্ন এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের অবস্থান এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ নির্ধারণ;
(ট) প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি;
(ঠ) পরিবেশ গবেষণাগার স্থাপন, গবেষণাগারের কার্যাবলী, গবেষণাগারে নমুনা সরবরাহের পদ্ধতি, গবেষণার ফলাফল প্রকাশের ফরম, ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতি, ফলাফল প্রাপ্তির জন্য ফি নির্ধারণ এবং গবেষণা কার্য পরিচালনার জন্য অন্য যে কোন বিষয়;
(ড) গণশুনানী অনুষ্ঠানের পদ্ধতি নির্ধারণ।]
রহিতকরণ ও হেফাজত
২১৷ (১) The Environmental Pollution Control Ordinance, 1977 (Ordinance XIII of 1977) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল৷
(২) অনুরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত Ordinance এর অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা, এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৩) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান পরিবেশ অধিদপ্তর ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিত অধিদপ্তর বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অধিদপ্তরে কার্যরত মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও
কর্মচারী এই আইনের অধীন নিযুক্ত মহাপরিচালক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন৷
1
দফা (কক) ও (ককক) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
2
দফা (চচ) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ২ (খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
3
দফা (ছছ) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ২ (গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
4
ধারা ২ক বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৯ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সন্নিবেশিত
5
শর্তাংশটি পূর্ববর্তী প্রথম শর্তাংশের পরিবর্তে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৯ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
6
ধারা ৪ক বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৯ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত
7
ধারা ৫ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
8
ধারা ৬ ও ৬ক পূর্ববর্তী ধারা ৬ এর পরিবর্তে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৯ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
9
ধারা ৬খ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সংযোজিত।
10
ধারা ৬গ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সংযোজিত।
11
ধারা ৬ঘ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সংযোজিত।
12
ধারা ৬ঙ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সংযোজিত।
13
ধারা ৭ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১২ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
14
উপ-ধারা (১) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
15
উপ-ধারা (৩) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
16
উপ-ধারা (৫) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সংযোজিত।
17
উপ-ধারা (২) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৯ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
18
ধারা ১২ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
19
ধারা ১৫ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
20
ধারা ১৫ক এর পরিবর্তে ১৫ক এবং ১৫খ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
21
উপ-ধারা (১) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
22
উপ-ধারা (২) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ৯ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে সন্নিবেশিত
23
উপ-ধারা (৩) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ৯(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
24
ধারা ১৭ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
25
“বিধিমালা” শব্দটি “বিধি” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
26
“বিধিমালায়” শব্দটি “বিধিতে” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
27
দফা (জ) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ১১(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
28
- দফা (ঝ), (ঞ),(ট) ও (ঠ) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫০ নং আইন) এর ১১(ঘ) ধারাবলে সংযোজিত ।