শেয়ারের অযৌক্তি দাম বাড়লে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বাড়ে

পুঁজিবাজারে অযৌক্তিকভাবে শেয়ার দর বাড়লে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি পারে। ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ারই এখন অবরুদ্ধ। এসব শেয়ার রয়েছে ব্যাংকটির মালিকানায় থাকা এস আলম (সাইফুল আলম) পরিবার ও তাদের নামে–বেনামে তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ কারণে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির লেনদেনযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে এটির শেয়ারের দামও হু হু করে বাড়ছে। মাত্র দেড় মাসেই ব্যাংকটির শেয়ারের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

এ অবস্থায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা খুবই সন্দেহজনক। গত ৬ আগস্ট থেকে গত বুধবার পর্যন্ত অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে কোনো ধরনের কারসাজি, সুবিধাভোগী লেনদেনসহ সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ডিএসইকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটির শেয়ারের সন্দেহজনক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান ও অনুমোদিত প্রতিনিধি বা ট্রেডারদের সতর্ক করতেও ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, পুঁজিবাজার বাঁচাতে হলে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ করতে হবে। তাদের ঝুঁকি কমাতে হবে। তাই এসব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিতে না পড়েন।

Tagged