শেয়ারবাজার নিয়ে বর্তমানে মানুষের প্রত্যাশা তলানিতে। অনেকে হয়তো এটি নিয়ে ভাবতেও চান না। বছরের পর বছর এই অবস্থা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। এ কারণে সৃষ্টি হওয়া অবিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসতে সময় লাগবে। পাশাপাশি নিতে হবে বিশ্বাযোগ্য পদক্ষেপ।
গত ১৫ বছর শেয়ারবাজারে অনিয়ম ও অদক্ষতা লালন করা হয়েছে। এ কারণে বাজার বিকশিত হতে পারেনি। যেসব কোম্পানি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছিল, তারা শেয়ারবাজারে এসেছে। শিল্পে অর্থায়নে সরকারের অগ্রাধিকারে সব সময় ব্যাংকিং খাতই ছিল। সময় এসেছে পরিবর্তনের। সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় শেয়ারবাজার থাকতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করে স্টক এক্সচেঞ্জ। অথচ ডিএসইকে কখনোই সে ভূমিকায় দেখা যায়নি। সব অংশীজন নিয়ে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ডিএসইতে মুখ্য অবস্থানে থাকা দরকার। গত ১০ বছরে দুর্বল কোম্পানির ৬০০ কোটি টাকার আইপিও এসেছে। ভালো কোম্পানির সংখ্যা ছিল খুবই কম। এ সময়ে বিও অ্যাকাউন্ট কমে অর্ধেকে নেমেছে। কোনো দেশের শেয়ারবাজারের সক্ষমতা পরিমাপ করা হয় বিদেশি বিনিয়োগ দিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এক শতাংশও নয়।
শেয়ারবাজারের প্রধান সমস্যা সুশাসনের অভাব। সক্ষমতা, দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা যতটুকু দরকার ততটুকু কোনো পর্যায়ে নেই।
যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। স্টক এক্সচেঞ্জে যেভাবে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়, তেমনি তালিকাচ্যুতও হয়। অতীতে অত্যন্ত দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। তালিকাচ্যুতির হালনাগাদ আইন থাকতে হবে।