পুঁজিবাজারের সুশাসন এখন প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির গত দুই কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়, যা দুঃখজনক। প্রশ্নবিদ্ধ নানা কোম্পানিকে তারা বাজারে এনেছে। অনেক ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সেসব কোম্পানি এখন বাজারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে দিনের পর দিন শেয়ারবাজার থেকে হারিয়ে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। তারা আশা নিয়ে বাজারে যুক্ত হয়েছিলেন, কিন্তু এসে প্রতারিত হয়েছেন। অনিয়ম আর দুর্বৃত্তপনার শিকার হয়েছেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই আস্থা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে পুঁজিবাজার। এটি ছোট কোনো বিষয় নয়। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থনীতির স্বার্থের জায়গা হচ্ছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যারা দেশের ক্ষতি করেছেন তাদেরকে ছাড়া দেওয়া ঠিক হবে না।
বাংলাদেশের মতো ছোট একটা বাজারে এত বেশি তদন্ত ও তদন্ত কমিটি হয়, যা বিশ্বের আর কোনো দেশে হয় না। গত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে যে ‘অলিগার্ক’ শ্রেণিগোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল, তার উদাহরণ শেয়ারবাজার। এই বাজারে বিনিয়োগের নানা গল্প তৈরি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো ও কমানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। আর এর সমস্ত দায় এসে পড়েছে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ওপর।