একটি শক্তিশালী আর্থিক খাত বাদ দিয়ে উন্নত দেশ গঠন সম্ভব নয়। তাই আর্থিক খাতের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম ব্যাংক খাত। এখানে অনেক ধরনের বিশৃঙ্খলা রয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে না পারলে অর্থনীর ক্ষতি টেকানো সম্ভব হবে না। ব্যাংখাতের দুর্বলতা কাটানোর জন্য পুঁজিবাজারের দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বড় পরিসর।
বর্তমানে লুটপাটের কারণে ব্যাংক খাত যে সংকটের মধ্যে পড়েছে, এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শেয়ারবাজার সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। বেসরকারি খাত তো বটেই, সরকারও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত। সহজেই ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এবং ফেরত না দেওয়ার সংস্কৃতিও শেয়ারবাজার বিকাশে বাধা। কাটিয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করতে শেয়ারবাজারকে সামনে রেখে পুরো দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সেই দিকে না গিয়ে বছরের পর বছর পুঁজিবাজারকে দুর্বৃত্তদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বাজারের সর্বনাশ হয়ে গেছে।
আমরা বলতে চাই অপরাধী শাস্তি না পেলে অপরাধ কমবে না। এর পেছনে যারাই দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি এখন সকলের দাবি হিসেবে উচ্চারিত।