লোকসানি কোম্পানির দর বাড়লে ঝুঁকি বাড়ে বিনিয়োগকারীদের

টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। এমন বাজারে বরাবরের মতো তলানিতেই পড়ে রয়েছে ব্যাংকখাত। অবমূল্যায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম। অন্যদিকে আয়হীন লোকসানে জর্জরিত অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুঁজিবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এতে বাড়ে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত ২০ পয়েন্টে স্পর্শ করে।

তবে চলতি বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধলে পুঁজিবাজারে টানা দরপতন দেখা দেয়। টানা দরপতনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে কমে মূল্য আয় অনুপাত। চলতি বছরের জুলাই মাসে ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত সাড়ে ১৩ পয়েন্টের নিচে নেমে আসে।

এ পরিস্থিতিতে নানামুখী পদক্ষেপে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পুঁজিবাজার আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে। এতে আবার সার্বিক বাজারের মূল্য আয় অনুপাত বেড়ে ১৬ পয়েন্টের ওপরে উঠে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আবার টানা দরপতনে দেখা দিয়েছে। অবশ্য এরপরও ডিএসইর পিই ১৬ পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পিই ১৬ দশমিক ২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৬ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

সব চেয়ে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে লোকসানি কোম্পানির দর বাড়াটা। এতে ঝুঁকি বাড়বে বিনিয়োগকারীদের।

Tagged