লেনদেন স্থগিতের কারণ জানেনা সোনালী পেপার, কাগজপত্র যাচাই করবে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দীর্ঘ ১১ বছর ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে থাকার পর মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু করার অনুমতি পায় সোনালী পেপার। কিন্তু লেনদেন শুরু করার আগেই স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে সোনালী পেপার এবং বোর্ড মিলের তদন্তকৃত কাগজপত্র এবং সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করবে।

এজন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে কাগজপত্র চেয়েছে।

সূত্রমতে, বিএসইসির নির্দেশ অনুসরণ করে এক্সচেঞ্জগুলো ইতিমধ্যে কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করেছে। তবে বন্ধের কোনও কারণ বা কোম্পানির কোনও লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেনি।

অন্যদিকে, বিএসইসি সূত্র মতে, স্টক এক্সচেঞ্জের কাগজপত্র ও সুপারিশ পাওয়ার পরে কমিশন লেনদেন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে মূল মার্কেটে কেন শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে তার আসল কারণ কোম্পানি জানতে পারেনি।

এর আগে ২ জুলাই, স্বল্প পুঁজিভিত্তিক সোনালী পেপার এবং বোর্ড মিল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড থেকে পুনরায় তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায়। উভয় এক্সচেঞ্জই তাদের বোর্ড সভায় ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।

গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানির নিট মুনাফা ৫.২৩ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩.৪৬ কোটি টাকা , এবং শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২.২৯ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩.৪৬ টাকা।

জানুয়ারী-মার্চ প্রান্তিকে, এর নিট মুনাফা হয়েছে ০.৫৩ কোটি টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০.৩৫ টাকা।

২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট সম্পদ মূল্য ছিল ৭৭৮.৮৬ টাকা।

গত বছরের নভেম্বর মাসে, বিএসইসি সোনালী পেপারকে বেশ কয়েকটি আইন থেকে অব্যাহতি দেয়।

কোম্পানির গত তিনটি আর্থিক বছরে ইতিবাচক নিট সম্পদ না থাকায় ও লো-প্রোফাইলের কারণে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জই সোনালী পেপারের শেয়ার মূল মার্কেটে লেনদেনের জন্য অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করেছিল।

কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে ছিল – যা এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত করার জন্য মেনে নেয়নি।

এক্সচেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিকে আবার মূল বাজারে আসতে দিয়েছে।

সংস্থাটি ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে এবং ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কয়েক বছরের খারাপ পারফরম্যান্সের পরে ২০০৬ সালে ইউনূস গ্রুপ সোনালী পেপারের দায়িত্ব গ্রহণ করে।

উৎপাদন বন্ধ থাকা ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করাসহ পাঁচ কারণ দেখিয়ে ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর সোনালী পেপারকে মূল মার্কেটের তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়। তালিকাচ্যুতির অন্য তিন কারণ হলো ধারাবাহিক লোকসান, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়া এবং কাগুজে শেয়ার ইলেকট্রনিকে রূপান্তর না করা।

তার পর থেকে নতুন পরিচালকরা ব্যবসায়টিকে আবার ভালো অবস্থানে আনার চেষ্টা করছেন।

কোম্পানির এখন রিজার্ভ এবং উদ্বৃত্ত রয়েছে ৪৮৮.১৪ কোটি টাকা, এবং এর পরিশোধিত মূলধনটি ১৫.১৩ কোটি টাকা।
এসএমজে/২৪/রা

Tagged