এসএমজে ডেস্ক:
দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান সাধারণ ছুটির সাথে মিল রেখে ছুটি চলছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। বন্ধ রয়েছে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এ কারণে বন্ধ হয়ে আছে পুঁজিবাজারের লেনদেনও। লেনদেন বন্ধের বিষয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানান আলোচনা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে লেনদেন শুরুর অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
বিশ্বব্যাপি ছড়ানো এই নভেল করোনাভাইরাসের ( কোভিড-১৯ ) বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে শুরু হয় সাধারণ ছুটি। যা পরে কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার তা শেষ হওয়ার কথা। তবে আজ সোমবার (৪ মে) প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এই ছুটি আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
সাধারণ ছুটির বিষয়ে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে কয়েকটি জরুরি খাতকে ছুটির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকিংও আছে। তবে বলা হয়েছে, ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচি পরিস্থিতি মূল্যায়ন সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে। প্রজ্ঞাপনে পুঁজিবাজারের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ না থাকায় সাধারণ ছুটির সাথে মিল থেকে শুরু থেকেই বাজারে লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।
কিন্তু এর মধ্যেই কেউ কেউ পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর আহ্বান জানাতে থাকেন। তাদের যুক্তি, করোনার জন্যে বিশ্বের কোনো দেশে পুঁজিবাজার বন্ধ নেই। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় তা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে। আগামী দিনে এখানে বিনিয়োগে তারা উৎসাহ হারাতে পারে। অন্যদিকে সাধারণ ছুটিতে অনেক বিনিয়োগকারীর আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। লেনদেন চালু থাকলে তারা তাদের বিনিয়োগের কিছু অংশ তুলে নিয়ে এই সংকট মোকাবেলা করতে পারতেন। তাছাড়া লেনদেন বন্ধ থাকায় ব্রোকারহাউজগুলোর আয় সম্পূর্ণ বন্ধ। অথচ প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্টাফদের বেতনসহ নানা ধরনের খরচ আছে।
তবে দিকে লেনদেন শুরুর ক্ষেত্রে কিছু বাধার বিষয়্ উঠে আসে। সাধারণ ছুটিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং সিডিবিএলও বন্ধ আছে। লেনদেন চালু করতে হলে এগুলোকেও খুলতে হবে। অন্যদিকে ব্যাংক খোলা থাকলেও ব্যাংকিং হচ্ছে সীমিত সময়ের জন্য। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারে পূর্ণ সময়ের জন্যে লেনদেন সম্ভব নয়।
এমন নানামুখী আলোচনার মধ্যেই গত সপ্তাহে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়, সাধারণ ছুটি বাড়ানো না হলে ৭ মে এবং বাড়ানো হলে ১০ মে তারা লেনদেন শুরু করতে আগ্রহী। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি সাপেক্ষেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তারই প্রেক্ষিতে ডিএসই গতকাল বিএসইসির কাছে লেনদেন শুরুর অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। সূত্রঃ ডিএসই ও বিএসইসি।
এসএমজে/২৪/বা