লেনদেনে অস্থিরতা স্থিতিশীলতায় বাধা

সাম্প্রতিক পুঁজিবাজারের প্রতিদিনের চিত্র তুলনা করলে দেখা যাবে লেনদেনে এক ধরনের অস্থিরতা রয়েছে। এটি স্থিতিশীলতার পক্ষে বাধা। লেনদেনের পরিমাণ ওঠা-নামা করাটা পুঁজিবাজারের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এরও যৌক্তিক কারণ থাকা চাই। এই চিত্র যদি অকারণে এবং দুয়েক দিনের ব্যবধানে অনেক পার্থক্য হয়, তাহলে কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ ছাড়া আজ ৯শ কোটি আবার কালকে ৬শ কোটি টাকা লেনদেন হলে বাজারের ভারসাম্য নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। এ ধরনের চিত্র বাজারে দীর্ঘস্থায়ী হওয়া কাম্য নয়।

দেশের পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক আচরণ কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে। বিশেষ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুরর্গঠনের পর বাজারে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এর আগে গত প্রায় দশ বছর ধরে পুঁজিবাজার যেভাবে চলেছে, এটি হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একটা সময় এসে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো আমরাও পতন লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। বর্তমানে সে অবস্থা থেকে বাজার উঠে এসেছে। বিএসইসির বেশকিছু ইতিবাচক ও গঠনমূলক সিদ্ধানের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। তাই আমরা মনে করি বাজার স্থিতিশীল করার জন্য আরো কিছু করার আছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

Tagged