দেশের পুঁজিবাজারে লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের লাফিয়ে লাফিয়ে দর বাড়ার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিষয়টি খুবই আশঙ্কাজন হয়ে উঠেছে। ২০১১ সাল থেকে টানা লোকসান। করোনায় বিক্রি না থাকায় এপ্রিল থেকে কারখানা একেবারে বন্ধ। কোম্পানি নিজেরাই বলছে, প্রত্যাশিত আয় না হওয়ায় নয় বছর ধরে টানা লোকসান হচ্ছে। আবার বিক্রি না থাকায় উৎপাদন ক্ষমতার পুরোটা ব্যবহারও করা যাচ্ছে না। কিন্তু কোম্পানি লোকসানে থাকলেও শেয়ারের দাম যেন হাওয়ায় উড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এ লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকা কোম্পানিটির নাম ইমাম বাটন। বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ দিতে না পারায় এটি মন্দ বা বাজে কোম্পানি হিসেবে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত। এই মন্দ মানের কোম্পানিটিরই শেয়ারের দাম এক মাসের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
এ রকম একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম এক মাসে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। তাই ধারণা করা যায়, কারসাজির মাধ্যমেই অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এ ধরনের কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা। তা না হলে এ ধরনের প্রবণতা পুরো বাজারের ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।