লকডাউন কালক্ষেপণে বাড়তে পারে বিপদ

লকডাউন বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হলে বিপদ বাড়তে পারে- এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ার এমন আশঙ্কা তাদের। গত ১৮ এপ্রিল বিএমডিসির সভাপতিকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যের কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি করোনাভাইরাসে বেশি সংক্রমিত হওয়া তুলনামূলক বড় এলাকা নিয়ে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরের পরামর্শ দেয়। ইতোমধ্যে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১ জুন সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় সংক্রমণ বিবেচনায় বিভিন্ন এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় ভাগ করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনভুক্ত পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় লকডাউন শুরু হয়। তবে একই সময়ে আরও কিছু স্থানে লকডাউন কার্যকরের কথা থাকলেও তা সেভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি। এটি বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদের আগে এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। না হলে আশঙ্কা থেকেই যাবে।

ইতোমধ্যে মানুষের অবাধ চলাচলের সুযোগে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ রাজধানী থেকে ছড়িয়ে পড়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে। জানা গেছে, টেকনিক্যাল কমিটি দফায় দফায় বড় এলাকা নিয়ে লকডাউন কার্যকরের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলেও সংশ্লিষ্টরা নানা ধরনের সমস্যা সামনে নিয়ে আসায় তা বাস্তবে রূপ লাভ করেনি। আমরা আশা করবো দ্রুত লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হোক।

Tagged