মূলধন জোগানে ব্যাংকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিতে হবে

কোনো দেশের শিল্পে মূলধনের জোগানে ব্যাংক একমাত্র উৎস হতে পারে না। এটি বড় ধরনের ত্রুতি আকাকে দেখা দিতে পারে। দেশের পুঁজিবাজার এখন প্রায় অকার্যকর। একে সক্রিয় করতে হবে। অংশগ্রহণ বাড়িয়ে শক্তিশালী বাজার গড়া জরুরি। বর্তমানে ১ শতাংশ মানুষও পুঁজিবাজারে সক্রিয় নন। এটি ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

পুঁজিবাজারের সংস্কার এমনভাবে করতে হবে যাতে বিনিয়োগকারীরা প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পান। দেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। এটি আমাদের চরম ব্যর্থতা। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকলে পুঁজিবাজারও কখনো উন্নত হবে না। যারা নীতিমালা তৈরি করবেন, তাদের থাকতে হবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে।

ব্যাংকগুলো থেকে সহজে টাকা নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী মেরে দিতে পারছেন। এই টাকার পেছনে ব্যাংক কতখানি ছুটতে পারে সেই প্রশ্নও রয়েছে। পুঁজিবাজারে আসতে হলে কোম্পানিকে জবাবদিহির মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু এই জবাবদিহি ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর কিছু নয়। বরং স্বচ্ছতা তৈরি হয়। এতে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হয়। কর্মসংস্থা সৃষ্টি হয়। এখন কথা হচ্ছে এসব কথা তো আমরা দীর্ঘ ধরে বলে আসছি। কোনো কাজ হচ্ছে না। কাজ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন এলেও তার প্রভাব পড়ছে না পুঁজিবাজারে।

Tagged