নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্জিন ঋণের নতুন সুদ হার কার্যকরে সময় চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। গত বুধবার এই চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে নির্দেশনা জারি করে মার্চেন্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত মার্জিন ঋণের ওপর সুদ বা মুনাফা আদায়ের ক্ষেত্রে কস্ট অব ফান্ডের সাথে যে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় করতে পারবে জানিয়ে নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। সেই নির্দেশনা কার্যকরের জন্য সময় চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
আগামী ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত সময় চেয়েছে সংগঠনটি। বিএমবিএ মনে করে বর্তমানে তারা উচ্চ হারে ঋণ গ্রহণ করে স্বল্প সুদে গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারবে না। যেই সময়ে তারা স্বল্প সুদে ঋণ পাবে, ওই সময় এটি কার্যকর করতে পারবে।
এ বিষয়ে বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিএসইসির নির্দেশনাটি আমরা কার্যকর করবো। তবে এর জন্য আমাদের সময় প্রয়োজন। স্বল্প সুদে আমরা ঋণ পেলেই এটি কার্যকর করতে পারবো।
এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিকে বিএসইসি একটি নির্দেশনা জারি করে মার্জিন ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ। এটি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৭ মার্চ একটি নির্দেশনায় বলা হয় আগামী জুলাই থেকে কার্যকর করার জন্য।
মার্চেন্ট ব্যাংক (পোর্টফোলিও ম্যানেজার) কর্তৃক প্রদত্ত মার্জিন ঋণের উপর গ্রাহকের নিটক হতে সুদ বা মুনাফা আদায়ের ক্ষেত্রে কস্ট অব ফান্ডের সাথে যে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় করতে পারবে তা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
এর আগে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায়ের বিষয়ে গত ১৪ জানুয়ারি একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু ৭ মার্চ আরেকটি সাক্যুলার জারি করে বিএসইসি জানিয়েছে এই নির্দেশনা ১ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা বলা হয়।
অপরদিকে মার্জিন ঋণের সুদ বা মুনাফার (সার্ভিস চার্জ ইত্যাদিসহ, যদি থাকে) বার্ষিক হার ১২ শতাংশের বেশি হবে না বলে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।
এসএমজে/২৪/সা