ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে পদেক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে শেয়ারবাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন, লাভজনক স্বচ্ছ কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার জন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের সঙ্গে ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করতে আবেদন জানানো হয়েছে। এই চিঠি পাঠানের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। এখন নীতির্ধারকদের কাজ হবে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘ সময় ধরেই মৌলভিত্তিসম্পন্ন লাভজনক কোম্পানির অভাবে ভুগছে। এতে বাজারের গভীরতা সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে বাজারটি বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় হচ্ছে না। দেশে যে সমস্ত লাভজনক দেশি এবং বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই এখনো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। এর একটি প্রধান কারণ হল, তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা অপর্যাপ্ত। জানা গেছে, বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২২. শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৭.৫০ শতাংশ।

যেসব কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় তারা সাধারণত সুশাসন মেনে চলে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে। করহারে ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে এই দায়িত্ববান আচরণকে উৎসাহিত করা সম্ভব হবে। যা অন্য ভালো কোম্পানিগুলোকেও তালিকাভুক্ত হতে প্রণোদনা দিবে।

এছাড়া, সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানো হলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে, যা দীর্ঘমেয়াদে বাজারকে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী করবে। বিদেশি বিনিয়োগও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

Tagged