ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি পুঁজিবাজারের জন্য জরুরি

বহুজাতিক এবং বেসরকারি খাতের বড় এবং ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে শেয়ারবাজারের উন্নতি হবে। তবে এগুলো মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার এসব পদক্ষেপ এগিয়ে নেবে কিনা, তা গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্তের সবগুলোই মধ্য দীর্ঘমেয়াদি ইস্যু। সরকারপ্রধান যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে অনেক আগে থেকে সুপারিশ করা হচ্ছে।

আগে কোনো সরকারের আমলে শেয়ারবাজার তেমন গুরুত্ব পায়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেছেন, যা বেশ আশাব্যঞ্জক। তবে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার পর  বৈঠকটি হলে সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর হতো। তার পরও ভালো শেয়ারের জোগান বাড়ানো বিষয়টি খুবই জরুরি। এ সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেলে ভালো হবে। ২০০৭ সালের অন্তর্বর্তী সরকারও ভালো শেয়ারের জোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু  রাজনৈতিক সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি।

সুতরাং রাজনৈতিক সরকারের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রানৈতিক ব্যক্তিরা যখন শেয়ারবাজারে যুক্ত হন, তখন তারা রাজনৈতিক প্রভাবে অনেক কিছু করতে চান। এটি শেয়ারবাজারের স্বাভাবিকতা ক্ষুণ্ন করে। এ কারণে অনেক সময় বাজারে নেতিচাক প্রবণতা উৎসাহিত হয়। এ ধরনের কাজ বাজারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব থেকে শেয়ারবাজারকে মুক্ত রাখতে হবে। তা হলে অনেক ভালো কিছু সম্ভব।

Tagged