ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দিলেও খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারপরও ব্যাংক নতুন করে টাকা দিয়েছে, এমন নজির রয়েছে আমাদের দেশে। অর্থনীতির স্বার্থে পুঁজিবাজারকে নিয়ে কীভাবে সমন্বিত আর্থিক ব্যবস্থা গড়া যায়, সে লক্ষ্যে সংস্কার পরিকল্পনা কতটা হচ্ছে, এটি এখন বড় ভাবনার বিষয়।
দেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ধরনের সংষ্কার হচ্ছে। পুঁজিবাজারের সংস্কারের কথাও বলা হচ্ছে। সেই সংষ্কার কতখানি ভূমিকা রাখতে পারবে সেই প্রশ্নও আছে। কারণ এই কাজ যারা করবেন, তারা কতটা আন্তরিকতা ও সততা নিয়ে করবেন। আবার যোগ্যতা ও দেশপ্রেমের বিষয়টি আছে। দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে সংস্কার না হলে, সেটিতে তেমন কোনো লাভ হবে না। বিশেষ করে লুটপাটের মানসিকতা নিয়ে যারা পুঁজিবাজারে দাপটের সঙ্গে আছেন, তাদের ধরার বিষয়টি আগে ভাবনায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। কাজটি করা একটু কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হয়েও আমরা একটি টেকসই আর্থিক খাত গড়ে তুলতে পারিনি। বিশেষ করে ব্যাংকে যে পরিমাণ ঋণখেলাপি, এটি বড় হতাশার বিষয়। এই হতাশার পেছনে বড় কারণ দুর্নীতি। সব জায়গায় দুর্নীতি জেঁকে বসেছে বলেই অনেকে সহজে লুটপাট করতে পারেন। যে কারণে পুঁজিবাজারও মজবুত হচ্ছে না।