বিশেষ তহবিল বিনিয়োগ: ৩৪ ব্যাংকে বিএসইসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজারে  বিনিয়োগ বাড়াতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশে ব্যাংকের দেয়া বিশেষ তহবিল বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে ৩৪টি ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

তারল্য সংকট কাটাতে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নমীয় সুবিধায় প্রতিটি ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করার সুযোগ। এর ফলে বাজারে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের চাওয়া সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আসেনি বেশিরভাগ ব্যাংক। গত ২ ফেব্রুয়ারি এই ফান্ড গঠনের নির্দেশনা জারি হওয়ার পর ৭-৮টি ব্যাংক তহবিল গঠনের কথা জানিয়েছে। কিন্তু এই তহবিল থেকে বাস্তবে কত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে তা প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে বাকি ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ তো দূরের কথা গত পাঁচ মাসে তহবিল গঠনেরই উদ্যোগই নেয়নি।

এখন পর্যন্ত এসব ব্যাংক সবাই মিলে ২শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে কি-না তা নিয়েই সন্দেহ বাজার সংশ্লিষ্টদের। অথচ প্রতিটি ব্যাংকেরই ২শ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করার কথা।

তারল্য সংকটের পাশাপাশি করোনা আতঙ্কে গতিহীন পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফেরাতে তাই ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এ লক্ষ্যে গত সোমবার (২৯ জুন) বিএসইসির পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিলের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে ৩৪টি ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংক। বাকি চারটি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ৭দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোকেও চলতি সপ্তাহেই চিঠি দেওয়া হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিল গঠন ও এর অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হতে পারে। যদি তাতেও কোনো কাজ না হয়, তাহলে বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর নজরে এনে তার হস্তক্ষেপ চাইতে পারে বিএসইসি।

প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে উল্লিখিত তহবিল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। একাধিক প্রক্রিয়ায় সেই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে। ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত  যে কোনো তফসিলি ব্যাংক রেপোর মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সুদ পরিশোধ করতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ।

এসএমজে২৪/কা

Tagged