বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার: নিয়ন্ত্রক সংস্থা দায় এড়াতে পারে কী?

নতুন বছরটির শুরুটাও ভালো হয়নি পুঁজিবাজারে। প্রায় এক বছর ধরে চরম মন্দাভাব চলছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) সার্বিক সূচকটি নেমে এসেছে ৪ হাজার ২০০ পয়েন্টেরও নিচে। তাতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী।

২০১৯ সালের শুরুটা ছিল আশা-জাগানিয়া। তাই নতুন আশায় বাজারে সক্রিয় হয়েছিলেন অনেক বিনিয়োগকারী। গত বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত  করে বলেছিলেন, বিনিয়োগ করে কেউ ঠকবেন না। অবশ্যই লাভ পাবেন। সেই আশ্বাসে ভরসা রেখেও অনেকে বিনিয়োগ করেন। সে সময় বলা হয়েছিল, বাজার ভালো করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। অথচ ২০১৯ সালের পুরোটা সময় বাজারে দরপতন ঘটেছে। এরপর এলো নতুন বছর। এতেও কোনো ভরসা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। বরং উল্টো দরপতনের মাত্রা আরো বেড়েছে।

এদিকে বাজারের খারাপ অবস্থার জন্য আস্থাহীনতার পাশাপাশি চাহিদা না থাকার পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার একের পর এক নতুন আইপিওর অনুমোদনকে দায়ী করছেন বিনিয়োগকারীসহ অনেক বাজার বিশ্লেষক। তাদের মতে, আইপিওতে আসা বেশিরভাগ কোম্পানিই নিম্ন মানের। এ কারণে তালিকাভুক্তির পর কিছুদিন না যেতেই এসব কোম্পানির আয়  কমতে দেখা যাচ্ছে। শেয়ার দর অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে যায়। কিছু কোম্পানি বন্ধও হয়ে গেছে।

এসব কারণে প্রশ্ন জাগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজে জবাবদিহিতা আছে কি? এতে সংশ্লিষ্টরা দায় এড়াতে পারেন কিনা?

Tagged