বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার: অভিভাবকদের মৌনতা কাম্য নয়

পরিবারের কোনো সদস্য যখন বিপর্যয়ের সম্মুখিন হন, অভিভাবকরা এসে পাশে দাঁড়ান, সান্ত্বনা দেন, উত্তরণের উপায় বের করেন। এতে পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা দেখা দেয়। ভরসার জায়গা তৈরি হয়। দেশের পুঁজিবাজার পার করছে চরম বিপর্যয়কাল। কিন্তু এর অভিভাবকদের তেমন সাড়া মিলছে না, তারা মুখ খুলছেন না। এটি বিস্ময়কর ও দুঃখজনক। এর ফলে বাজারের অবস্থা দিন-দিন খারাপ হচ্ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমেছেন। বাজার মূলধন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহল থেকে কোনো ধরনের ইতিবাচক নির্দেশনা আসছে না। এটি পুঁজিবাজারের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।

এদিকে পুঁজিবাজারের এই অবস্থা রাতারাতি হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে সংকট চলে আসছে। এসব সংকট নিয়ে বহু লেখা হয়েছে, বক্তব্য হয়েছে, দাবি উঠেছে কিন্তু প্রতিকার হয়নি। ফলে সংকটের সৃষ্টি। একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার অভাব, অন্যদিকে সুশাসনের ঘাটতি এ সংকটকে ত্বরান্বিত করেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে দুটো বিষয়ই জরুরি। জবাবদিহিতা না থাকলে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়। সুশাসন না থাকলে আইনের বাস্তবায়ন হয় না। পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে বারবার এমনটিই ঘটেছে। সুতরাং পরিস্থিতির উন্নতি করতে হলে বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। চুপ করে থাকাও কাম্য নয়। দরকার সময় উপযোগী পদক্ষেপ।

Tagged