আগামী কয়েকদিন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে কয়েকটি বিমা কোম্পানি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই আশ্বাস দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
২৬টি কোম্পানির বিনিয়োগ পরিস্থিতি তদারকির অংশ হিসেবে গত বুধবার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএসইসি। বৈঠক শেষে বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, ২৬ বিমা কোম্পানির মধ্যে যেসব কোম্পানি আইপিওতে আবেদন করেছে বা আইপিও অনুমোদন পেয়েছে তাদের প্রত্যেকে ইকুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে, বৈঠকে সে বিষয় নিশ্চিত করেছে। অন্য যারা এখনো আবেদন করেনি তাদের বিনিয়োগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তাদেরকে ইকুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করার আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে তারা যদি কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়, সে বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলে সহযোগিতা করা হবে। আলোচনায় উঠে এসেছে ইপিএস পজেটিভ থাকলে আইপিও’র জন্য আবেদন করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তাদের (২৬ বিমা কোম্পানির) যে বিনিয়োগ আছে, সেটা কীভাবে বাড়ানো যায় এবং আইডিআরএ’র বিনিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে আগামী কয়েকদিন বিনিয়োগ বাড়াবে।
ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি আমানত গ্রহণ করে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়। আর বিমা কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি ফান্ড পেয়ে থাকে। জীবন বিমা কোম্পানি অনেক দীর্ঘমেয়াদি ফান্ড পায়। সেই ফান্ড যদি তারা পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারে, তারা অনেক বেশি রিটার্ন পাবে। সেই বিনিয়োগের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যদি তাদের বিনিয়োগ শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে, সেক্ষেত্রে কমিশন থেকে ওয়ার্কশপ, সেমিনার, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়।
বিমা খাত গুরুত্বপূর্ণ খাত। অর্থনীতির উন্নয়নে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ভূমিকা আগামী দিনে আরও বাড়বে। এখন কথা হচ্ছে বিষয়গুলো সকলেরই কমবেশি জানা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে আশ্বাস বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের গাফিলতি রয়েছে। এক্ষেত্রে এটি কতটা বাস্তবায়ন হবে, সেই প্রশ্নই জরুরি।