বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ফ্লোরপ্রাইস কতটা কার্যকর?

পুঁজিবাজারের স্বাস্থ্য ভালো হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইজের কারণে বর্তমানে লেনদেন কম হচ্ছে। তবে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার কারণে ফ্লোর প্রাইজের ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেনি, বরং ভালো অবস্থানে রয়েছে।

সম্প্রতি বিএসইসির সম্মেলন কক্ষে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন্সের (আইওএসকো) এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (এপিআরসি) দুই দিনব্যাপী সম্মেলন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

পুঁজিবজারের বিনিয়োগকারীরা টানা লোকসানে রয়েছেন। অনেকে পুঁজি হারিয়ে বাজার থেকে সরে পড়েছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্লোরপ্রাইস কতটা ভূমিকা রাখতে পারছে। পাশাপাশি পুঁজিবাজার থেকে কারসাজি দূর করার জন্য কতটা সক্ষম হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বলিা হচ্ছে, পুঁজিবাজার অটোমেশন হলে অনেক জালিয়াতি ও কারসাজি কমে আসবে। এই কথাওয় বিনিয়োগকারীরা কতটা আশ্বস্থ হতে পারেন। এমন কথা আগেও বলা হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষে নেওয়ার সময়। দেখা গেছে এতে সুফল পাননি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাই তাদের ক্ষতি দিন দিন বেড়েই চলছে। কারণ কারসাজির এক পথ বন্ধ করলে আরও নতুন নতুন কৌশল বের করে কারসাজি করা হচ্ছে। অটোশেনের মাধ্যমে এটি কতটা রোধ করা সম্ভব হবে, সেটিও একটি প্রশ্ন।

প্রয়োজন হচ্ছে কারসাজির শুরুতে তাদের চিহ্নিত করা এবং আইনের আওতায় নিয়ে এসে তাদের শাস্তি দেওয়া। এটি করার ক্ষেত্রে সবার আগে দরকার সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা।

Tagged