শেয়ারবাজারে ২০১০ সালে সৃষ্ট মহাধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এখনো মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এরপর অতিবাহিত হওয়া দীর্ঘ ১৫ বছরে পুঁজি হারিয়ে বিভিন্ন সময়ে অন্তত ১১ জন বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা কিংবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এখন এসব বিনিয়োগকারীর পরিবার থেকে একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করাসহ একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি শেয়ারবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ (বিসিএমআইইউএ)।
গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে পুঁজি হারিয়ে যে আত্মহত্যার খবর এসেছে, বাস্তবে এর সংখ্যা আরও বেশি হবে হবে বলেও তাদের দাবী। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে কারসাজির কারণে সৃষ্ট পতনে বিনিয়োগকারীদের এমন মৃত্যু হওয়াকে কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ড পুঁজিবাজারকে একটি টেকসই ও গতিশীল বাজার হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এখন কথা হচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা যদি ন্যায্য দাবি করেন, তা হলে তাদের দাবি মেনে নিতে সমস্যা কোথায়। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে।
পুঁজিবাজারকে রাহুমুক্তি করার জন্যই এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আমরা আশা করবো বর্তমানে দেশে যেহেতু বড় ধরনের একটি পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে, তাই এসব জরুরি প্রশ্নেরও মীমাংসা করা প্রয়োজন।