শেয়ারবাজারবিমুখ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করতে সরকারের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ডিএসই, ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব বাজার মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে নীতি সংস্কারের পাশাপাশি মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন
প্রায় ১৫ বছর ধরে শেয়ারবাজারে দুষ্টের পালন আর শিষ্টের দমন করা হয়েছে। সব কটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ডিএসইকে পরিণত করা হয়েছে একটি পোস্ট বক্সে। ফলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ অরক্ষিত থেকেছে। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের সংস্কারের সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায়। সব আইনকানুন ও নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের রাখতে হবে কেন্দ্রবিন্দুতে। তাহলে বাজারের প্রতি আস্থা ফিরে পাবেন বিনিয়োগকারীরা, তাঁদের বিনিয়োগও সুরক্ষা পাবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য বিগত ১৫ বছরে শেয়ারবাজারের প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সক্ষমতার ওপর দাঁড়াতে পারেনি। নানা ধরনের অনিয়ম ও কারসাজির ঘটনা ঘটলেও বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে এখন আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্বল্প মেয়াদি ব্যবস্থা যেমন লাগবে, তেমনি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে। কাঠামোগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। যেকোনো অনিয়ম ও কারসাজির ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণকে সবার আগে বিবেচনায় নিতে হবে।