পুঁজিবাজারকে অতীতে কোনো সরকার রাজনৈতিকভাবে ‘নিজের’ করে নেয়নি। এ বাজার এখনও কতিপয় ব্যক্তির ‘ক্যাসিনো’ হয়ে আছে। যেখানে কিছু লোক মুনাফা করে, বাকিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি শেয়ারবাজারের বড় দুর্বলতা। দেশে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের কারসাজির বিচার হয়নি। ছিয়ানব্বই কেলেঙ্কারিতে ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট হলেও কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। ফলে ২০১০ সালে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ভারত ও থাইল্যান্ডে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দোষীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকায় বিচার প্রক্রিয়া ধামাচাপা পড়ে যায়। এ কারণে পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয় না।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতি করে না। দুর্নীতি করেন তারা যারা নানাভাবে সুবিধাভোগী। তাদের সঙ্গে পারা যায় না। পারা না যাওয়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা। এক শ্রেণির লোক পুঁজিবাজার থেকে হাতিয়া টাকায় পাহাড় গড়েছেন। একগুলো কেনো নজরে আসবে না। সবই তো দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ ও পরিস্কার। তারপরও আমরা কেন ব্যবস্থা নিতে পারবো না। আমাদের দুর্বলতা কোথায়? সেটি খুঁজ বের করতে হবে।