বিএসইসির অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দূর করতে হবে

দেশে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজারে সুবাতাস ফেরার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ সাত মাসেও প্রত্যাশা পূরণ দূরের কথা, উল্টো দর পতনসহ নানা সমস্যার কারণে হতাশায় নিমজ্জিত সবাই। শেয়ারবাজারকে এ অবস্থা থেকে বের করে আনার অন্যতম দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। অথচ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে অধস্তন কর্মকর্তাদের টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই সংকটের মধ্যে ফেলেছে।

নানাবিধ ইস্যুতে ক্ষোভের কারণে গত ৫ মার্চ নজিরবিহীন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের টানা চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএসইসির কর্মকর্তারা। কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা এখনও অধস্তন কর্মকর্তাদের আস্থায় আনতে পারেননি। এই ধরনের পরিস্থিতি পুঁজিবাজারকে আরও অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যখন একজোট হয়ে সবাইকে কাজ করা দরকার, তখন এ ধরনের বিভক্তি সংস্থাটির জন্য কিছুতেই মঙ্গল বয়ে আনবে না। তাই যত দ্রত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে বিএসইসির অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা। তাই আমরা বলতে চাই নীতিনির্ধারকরা দ্রুত বসুন, পরিস্থিতি ঠিক করুন। এই দাবিই এখন সবার আগে সামনে এসে গেছে।

Tagged