করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে আসছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। জীবন-জীবিকার এই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী বাজেটে উদ্যোগ ও বরাদ্দ দরকার। প্রবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা না করে করোনা ও এর প্রভাব মোকাবিলায় জোর দিতে হবে। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় প্রণোদনা ও সহায়তা বাড়াতে হবে। সে জন্য বরাদ্দও বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণ এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। এর পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা দূর করার উদ্যোগ থাকতে হবে। এজনন্য জাতীয় বাজেট হওয়া চাই গণমুখী। আমাদের জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে প্রণিত হওয় প্রয়োজন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা অনেক দিনের। ফলে সময় এসেছে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর। এক বছরেই এটা করা সম্ভব নয়। তবে আগামী বাজেট থেকেই সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। কারণ করোনার মাধ্যমেই মহামারি শেষ হচ্ছে, তা নয়। আগামীতেও এমন নতুন নতুন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হতে পারে। তার প্রস্তুতি এখনই শুরু করা দরকার।
এর মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় মনোযোগ বাড়ারো প্রয়োজন। এরপর জোর দিতে হবে খাদ্য নিরাপত্তায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ইতোমধ্যে কৃষি খাতে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এক ইঞ্চি জমিও যাতে খালি না থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও উদ্যোগ দরকার। কৃষকরা যাতে চাষে আগ্রহী হতে পারেন, সেই ধরনের উদ্যোগ থাকতে হবে। উৎপাদন, সরবরাহ ও কৃষকদের পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে।