বাজেটে পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা

দেশের পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট, সুশাসনের ঘাটতি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় গত বছরের জানুয়ারি থেকেই নিম্নমুখী বাজার। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি সূচকের পতনকে আরো ত্বরান্বিত করেছে। এর সঙ্গে সর্বশেষ যোগ হয়েছে কোভিড-১৯-এর প্রভাব। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থায় দেশের পুঁজিবাজার। ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে শেয়ারের দরের নিম্নসীমা নির্দিষ্ট করে দিয়ে কৃত্রিমভাবে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে সূচকের পতন। এ অবস্থায় মৃতপ্রায় পুঁজিবাজারে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান ও বিভিন্ন ধরনের করছাড়ের সুবিধা চেয়েছে স্টেকহোল্ডাররা। প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কী ধরনের প্রণোদনা থাকছে সে অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।

এরই মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিবেচনার জন্য বেশকিছু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

আমরা মনে করি, পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। এটি মজবুত করার জন্য সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। সে অনুযায়ী বাজেটে পুঁজিবাজার গুরুত্ব পাওয়া উচিত।  শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে একটি আদর্শ পুঁজিবাজার গঠনের বিকল্প নেই।

Tagged