আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেটে মন্দাবস্থায় থাকা দেশের শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে বেশ কিছু কর সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত ও তালিকা–বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান আরও বাড়ানো, ব্রোকারহাউজের লেনদেনে উৎস কর হ্রাস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের আয়ে করহার কমানো।
পুঁজিবাজারে যেসব বিষয়ে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে সেগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করা; দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে উৎসাহ প্রদান; কারসাজি প্রতিরোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ; অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা; ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরতা কমিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বন্ড ও ইক্যুইটির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহে সুযোগ বৃদ্ধি। বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব বহন করে। তবে এর আগে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি খুব একটা। আশা করবে এবার একটা বিহিত হবে।
দীর্ঘ দিন ধরে পুঁজিবাজারে সংকট চলছে। এ কারণে এবারের বাজেট নিয়ে নিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি। তারা আশা করছেন বাজেটে পুঁজিবাজার গুরুত্ব পাবে। কার্যত কতটা গুরুত্ব পেয়েছে পুঁজিবাজার? লাখ লাখ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার থেকে ছিটকে পড়ছেন। দরপতনের তীব্রতায় তারা বাজারে থাকতে পারছেন না। লম্বা সময় ধরে আস্থার সংকট বাজারে। এতে আস্থার চরম সংকট দেখা দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এমন সময় বর্তমান বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।