বন্ধ কোম্পানির দাম বেড়ে তিন গুন: নিয়ন্ত্রক সংস্থা করে কী

শেয়ারবাজারে এক মাসেই বন্ধ কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের দাম বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়ে গেছে। এর মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে কোম্পানিটি।

তথ্য বলছে, ১০ টাকা ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের কমে এটি শেয়ারবাজারে লেনদেন হয় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। এক মাসের ব্যবধানে সেই দাম বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়ে গেছে। অথচ কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০২০ সালের পর শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশও দিতে পারেনি খুলনা প্রিন্টিং। সর্বশেষ ২০২০ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে না পারায় এটিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। তারপরও বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানা যাচ্ছে না। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে একটি চক্র কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। তা না হলে বন্ধ এই কোম্পানির শেয়ারের দাম কিছুতেই এক মাসে বেড়ে তিন গুণ হতে পারে না।

বর্তমানে শেয়ারবাজারে কিছুটা মন্দাভাব চলছে। লেনদেনেও গতি কম। এ ধরনের বাজারে কারসাজির জন্য স্বল্প ও মাঝারি মূলধনি কোম্পানির প্রতি কারসাজিকারকদের আগ্রহ থাকে বেশি। কারণ, অল্প কিছু শেয়ার কিনে বা অর্থ বিনিয়োগ করে বাজারে এ ধরনের শেয়ারের দাম বাড়ানো সহজ। সেই সহজ পথটিই বেছে নিয়েছেন কারসাজিকারকেরা। তবে বন্ধ ও দুর্বল মানের কোম্পানির শেয়ারের দাম যাতে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে না পারে সে জন্য এসব কোম্পানির লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি বাড়ানো উচিত। এটি না হলে প্রশ্ন উঠবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা করে কী? আর এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের করণীয় কী?

Tagged