পুঁজিবাজারে বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া সঠিক কিনা সেটি সময়ই বলে দেবে। গত রোববার পুঁহজবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়।
প্রায় ১৫ মাস পর পুনর্গঠিত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ‘ফ্লোর প্রাইস’ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গত বৃহস্পতিবার। রোববার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। তাতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন শুরু হয় সূচকের পতন দিয়ে। লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটেই প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪৩ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচক কিছুটা বাড়লেও বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত তা আগের দিনের চেয়ে কমই ছিল। শেষ ঘণ্টায় এসে সূচক ঘুরে দাঁড়ায়। তাতে দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৬৯ পয়েন্টে।
পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বেঁধে দেয় বিএসইসি। যাতে বেঁধে দেওয়া ওই সীমার নিচে কোনো শেয়ারের দাম নামতে না পারে। এভাবে গত বছরের মার্চে পুঁজিবাজারের ভয়াবহ পতন থামিয়েছিল বিএসইসির তৎকালীন কমিশন।
ফ্লোর প্রাইস আরোপের আগে ১৮ মার্চ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমেছিল ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার পর ওই বছরের ২৫ মার্চ ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার পয়েন্টে। বর্তমানের সূচকের অবস্থান ৬ হাজার পয়েন্টের উপরে। সূচক ৬ হাজার ছাড়ানোর পরই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এই সিদ্ধান্ত কতটা সময় উপযোগী হয়েছে সময়ই সেটি বলে দেবে।