প্রথম টি২০তে জিম্বাবুয়েকে ৪৮ রানে হারাল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক:

লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ফিফটি আর তামিম ইকবালের ৪১ রানে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে করে ২০০ রান। জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ১৫২ রানে। ৪৮ রানের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

দিনের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ঝড়ের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। সিলেটে শেষ ওয়ানডেতে যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন লিটন। জিম্বাবুইয়ান বোলারদের চোখের জল, নাকের জল এক করে লিটন সেদিন করেছিলেন ১৭৬। এটি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। সোমবার ৩৯ বলে ৫৯ রান করে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ার আগে মিরপুরের দর্শকদের ভালোই আনন্দ দিয়েছেন লিটন।

তামিমও কম যাননি। ৩৩ বলে ৪১ রানে ফিরলেও ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়াটা বেশ উদযাপনই করছিলেন তিনি। এ দুজন ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ওপেনিং জুটির রেকর্ড। তাদের গড়ে যাওয়া ৯২ রানের ওপেনিং জুটি আর সৌম্য সরকারের ৩২ বলে ৬২ রানে স্কোর বোর্ডে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ তুলেছে বাংলাদেশ। এটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। এত বড় রান তাড়ায় অন্তত এক-দুজন ব্যাটসম্যানকে বড় ইনিংস খেলতে হয়। জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানকেই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামোয়ে (২৮) আর দশ নম্বর ব্যাটসম্যান কার্ল মুম্বা (২৫) ছাড়া কেউ ২০-এর বেশিই করতে পারলেন না! ঠিক ২০ রানে আউট হয়েছেন অবশ্য আরও তিন ব্যাটসম্যান—অধিনায়ক শন উইলিয়ামস, উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান রিচমন্ড মুতুম্বামি আর নয়ে নামা ডোনাল্ড তিরিপানো।

এত বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বড় দু-একটা জুটিও লাগে। জিম্বাবুয়েকে তেমন কিছুও করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। চতুর্থ উইকেটে শন উইলিয়ামস আর তিনাশে কামুনহুকামোয়ের ৩২ রানের জুটিই ইনিংসের সর্বোচ্চ। এর বাইরে জুটিতে ২০-এর বেশি রানই এসেছে শুধু নবম উইকেটে তিরিপানো-মুম্বা আর দশম উইকেটে মুম্বা-পোফু জুটিতে।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মুগ্ধ করেছেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম। রান দিয়েছেন বটে, ৩ ওভারে ৩৪ রান এসেছে তার বোলিংয়ে, তবে আমিনুল উইকেট নিয়েছেন ৩টি। চতুর্থ উইকেটে ৩২ রানের জুটিতে জিম্বাবুয়েকে পাল্টা লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখানো দুই ব্যাটসম্যান উইলিয়ামস-কামুনহুকামোয়ের দুজনকেই ফিরিয়েছেন নবম ওভারে পরপর দুই বলে। প্রথমে তামুনহুকামোয়েকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে, পরের বলে আমিনুলের ফুলটসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন উইলিয়ামস। পরে ১৩তম ওভারের শেষ বলে মুতুম্বোদজিকেও ফিরিয়েছেন আমিনুল।

দারুণ বোলিংয়ে মুগ্ধ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। ৪ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে অবশ্য নিজের শেষ বলে মুম্বার উইকেটটি নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করার আগে শেষ ওভারেই মোস্তাফিজ দিয়েছেন ১৩ রান। ১টি করে উইকেট শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও আফিফ হোসেনের।

এই জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি আগামীকাল বুধবার ‍মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এসএমজে/২৪/রা

Tagged