প্রতিবাদ বন্ধ করতেই কি দরপতন?

পুঁজিবাজারে দরপতন চলছেই। এই পতন বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ বোঝা যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমেছেন। আন্দোলন করছেন। প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এতে কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। বরং দরপতন যেন আন্দলনকে চ্যালেঞ্জ করছে। কারণ এর আগে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে দরতনের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীরা আন্দোল করলে বাজারে সূচকের উন্নতি হয়েছে। এটি প্রভাবিত হোক আর স্বাভাবিক কারণে হোক ঘটেছে। কিন্তু এবার সেটি হচ্ছে না। বরং পতন আরো সর্বগ্রাসী রূপ নিচ্ছে। তবে কি প্রতিবাদ বন্ধ করতেই পতন তীব্র হচ্ছে?

আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায়, কোনো বিষয়ে দাবি-দাওয়া উঠলে সেটিকে দমন করার জন্য আরো বেশি বিপরীত আচরণ করা হয়। সুতরাং কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। তারপরও মানুষ শেষ পর্যন্ত আশা করে একটি ইতিবাচক সমাধান। যার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কি সে ধরনের সদিচ্ছা রয়েছে? যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে তারা এক্ষেত্রে সমাধানের পথ খুঁজচে না কেনো? কারণ আধুনিক সময়ে পুঁজিবাজার অর্থনীতির অন্যতম অঙ্গ। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপলব্ধি করতে দ্বিধা কোথায়? তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির ফলে বর্তমান সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করাটা খুবই সহজ বিষয়। এ-প্তর থেকে ও-দপ্তরে কাগজ পাঠানোর জন্য এখন আর কয়েক কার্য দিবেসে দরকার হয় না। এক ক্লিকেই অনেক কিছু হয়ে যায়। দরকার কেবল আন্তরিকতার। সেই আন্তরিকতাটুকুই আমাদের সংকট উত্তরণে কাজে লাগতে পারে। তাহলেই শেষ পর্যন্ত একটি গঠনমূলক সমাধান সম্ভব।

 

Tagged