তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ শতকরা ৯৮ ভাগ শ্রমিককে বেতন দেয়া হয়েছে বলে দাবি করলেও প্রতিদিনই শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কারখানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে, অবরোধ করছে মহাসড়ক। উদ্বেগের বিষয় হল, এর ফলে তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এতে গোটা দেশবাসীর জন্যই ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
ছোঁয়াচে এ রোগ দ্রুত একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় যারা শ্রমিকদের বেতন দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন শ্রমিক নেতারা। যেসব গার্মেন্ট মালিক বেতন দিচ্ছেন না, তাদের নীতি সুবিধা, ব্যাংকিং সুবিধা, বন্ড লাইসেন্স ও সিআইপি কার্ড বাতিল করারও দাবি উঠছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে সরকার গার্মেন্টসহ রফতানি খাতের জন্য প্রণোদনা হিসেবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত হল, এ টাকা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। এরপরও শ্রমিকদের বেতন নিয়ে গড়িমসি দুঃখজনক।
আমারা বলতে চাই, বর্তমান করোনাজনিত জরুরি পরিস্থিতিতে সব শ্রমিকেরই বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ করা উচিত। সরকারও সেই নির্দেশনা দিয়েছে। যারা এ নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
খোঁজ নেয় হোক কারা বন্ড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করার পরও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি। তাদের এসব সুবিধা বাতিলের যে দাবি উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হোক।
ব্রেকিং নিউজ :